বাতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? জেনে নিন কিভাবে মুক্তি পাবেন:
আমাদের শরীর 206 টি হাড়ের সমন্বয়ে গঠিত।হাড়ের কিছু অস্বাভাবিকতা জনিত সমস্যা রয়েছে। হাড়ের সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি বেদনাদায়ক সমস্যা হল বাতের ব্যথা। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি চরম আকার ধারণ করে। অসহ্য ব্যথা সহ্য করতে না পেরে অনেক বয়স্ক মানুষ অনেক রকম চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন লাভ হয় না। আজকে আমরা জেনে নিব বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়। বাত ব্যথা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের হাড় ক্ষয় যায়। হাড় ক্ষয় হওয়ার কারণে হার এবং মাংসপেশির সন্ধিস্থলে খাজ সৃষ্টি হয়। এছাড়া অতিরিক্ত ওজনের কারণে বাত ব্যথার সৃষ্টি হয়। যারা খুব বেশি পরিমাণে রসালো খাবার গ্রহণ করে, তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি বেশি হয়। পঞ্চাশের বেশি বয়সের মানুষ যদি নিয়মিত তিন বেলা ভাত খায় তাহলে তার মাংসপেশিতে পানি জমে এবং শরীরের ওজন অনেক বেড়ে যায়। ফলে বাত ব্যথার সৃষ্টি হয়। আমাদের মধ্যে অনেক বয়স্ক মানুষ পরিশ্রম করে না। তারা দিনের বেশিরভাগ সময় বিশ্রাম নিয়ে কাটায়। সারাদিন বসে থাকলে শুয়ে থাকলে দেহের স্বাভাবিক অঙ্গ সঞ্চালন হয় না। হলে ওজন অনেক বেশি বেড়ে যায় এবং হাত পায়ের গিটে গিটে ব্যথা হয়। এটাই বাত ব্যথার নামে পরিচিত।
বাত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যা করতে হবে তা হল:-
একটি পাত্রে কিছুতে সরিষার তেল নিতে হবে। সরিষার তেল এর মধ্যে রসুন মিশিয়ে তা ভালোভাবে গরম করতে হবে। এরপর গরম তেল আলতোভাবে ব্যথার স্থানে মালিশ করতে হবে।
30 মিনিট মালিশ করলে অনেক আরাম পাওয়া যাবে। গরম তেল মালিশ করার অভ্যাস বেশ কয়েকদিন চালু রাখতে হবে। তাহলে বাত ব্যথা চিরতরে বিনাশ হয়ে যাবে।
এছাড়া অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। কমপক্ষে এক বেলা রুটি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। রুটি এক ধরনের শুকনো খাবার শরীরে রস কমিয়ে আনে। তাই নিয়মিত রুটি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
আমরা অনেক সময় খাওয়ার সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়ি। এটি মোটেও ঠিক নয়। খাওয়ার পর কমপক্ষে 30 মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে হবে। প্রতিদিন সকাল-বিকাল হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস করতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে ভাত এবং মাংস খাওয়া যাবে না।

বাতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? জেনে নিন কিভাবে মুক্তি পাবেন
অতিরিক্ত ব্যথা হলে গরম কাপড়ের সেক নিতে হবে।কাপড়ের সেক দিলে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। অলস জীবন যাপন করা বন্ধ করতে হবে। অনেক সময় হাড়ের মধ্যকার ক্যালসিয়ামের অভাবে বাতের ব্যথা হয়। এক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই তরকারি হিসেবে কাঁচা কলা খাওয়া যেতে পারে। দুধ আমাদের হারকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। তাই দুধের মধ্যে কিছুটা পানি মিশিয়ে গরম করে খেতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ঘনদুধ আপনার রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
সর্বোপরি অলস জীবন যাপন না করে স্বাস্থ্যসম্মত এবং পরিশ্রম করে জীবনযাপন করতে হবে। অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি যেমন শেখ নেওয়া বা তেল মালিশ করা ইত্যাদি অনুসরণ করে বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।