best counter

শীতে এভাবে রাখুন বাচ্চার বিশেষ খেয়াল

রোগবিরেত থাকবে দূরে

by mirajamin
5/5 - (1 vote)

শীতে এভাবে রাখুন বাচ্চার বিশেষ খেয়াল ?

শিশুদের ত্বক খুবই কোমল ও সংবেদনশীল। সামান্য প্রতিকূল পরিবেশ শিশু ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। বেশি ঠান্ডা বেশি গরমে শিশুর ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

এছাড়া বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।শীতকালে ঠান্ডা সর্দি কাশি জ্বর হাপানি সহ নানা রকম অসুখ বিসুখ মানুষকে আক্রমণ করে। বিশেষ করে পুরো শীতকাল শিশুদের ঠান্ডা জনিত সমস্যায় কেটে যায়। শিশুদের হালকা ঠাণ্ডা পরিবেশেই ঠান্ডা জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এমনকি শীতকালে অনেক শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। গ্রামের অসচেতন বাবা-মার শিশুর ভালোভাবে খেয়াল রাখতে পারেনা। তারা তাদের শিশুকে ঠাণ্ডা পরিবেশে গরম কাপড় সহ অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয় না। ফলে শিশুদের বুকে ঠান্ডা বসে যায়। ফলপ্রসূ সৃষ্টি হয় নানারকম ভয়ানক রোগ ব্যাধি। আজকে আমরা জেনে নিব শীতকালে শিশুর যত্ন নেয়ার কিছু উপায়।

শীতকালে শিশুর সংবেদনশীল ও কোমল ত্বকের উপযোগী লোশন অথবা সরিষার তেল ব্যবহার করতে হবে। গোসলের পরে প্রতিবার শিশুর গায়ে লোশন মালিশ করতে হবে।এতে শিশুর ত্বক ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। গ্রাম অঞ্চলের বডি লোশন সহজলভ্য না হলে পরিষ্কার সরিষার তেল শিশুর শরীরে মালিশ করতে হবে।

বডি লোশন অথবা সরিষার তেল শিশুর শরীরের তাপমাত্রা উচ্চ রাখতে সাহায্য করে। হলে তীব্র শীতের মতো প্রতিকূল পরিবেশেও শিশুর কোন সমস্যা হয় না। এছাড়াও অলিভ অয়েল অথবা জলপাইয়ের তেল শিশুর শরীরে ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের জন্য জলপাইয়ের তেল খুবই উপকারী।

শীতকালে শিশুকে সুস্থ রাখার আরেকটি উপায় হল প্রতিদিন গোসল না করানো। শীতকালে এমনিতেই প্রকৃতির তাপমাত্রা খুবই কম থাকে। এ সময় তারা শীতে আরষ্ট হয়ে থাকে।তাদের প্রতিদিন গোসল করালে তাদের শরীরের তাপমাত্রা কবে যাবে, ফলে নানা রকম অসুখ হতে পারে। এজন্য পর্যায়ক্রমে এক দিন পর পর শিশুকে গোসল করাতে হবে। এবং বাকি দিনগুলোতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে শিশুর শরীর ভালোভাবে মুছে দিতে হবে।

শিশুকে নিয়মিত গরম কাপড় পরানোর অভ্যাস করতে হবে। অনেক শিশুই শীতকালে গরম কাপড় পড়তে চায় না। এরকম চলতে থাকলে নিউমোনিয়া হতে পারে। বাবা-মার উচিত সচেতন হওয়া এবং শিশুকে শীতকালে সবসময় গরম কাপড় পরিয়ে রাখা। সোয়েটার ,হাত মোজা ,পা মোজা , টুপি মাফলার ইত্যাদি সব সময় শিশুকে পরিয়ে রাখতে হবে। শীতে শীত শিশুর শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না।

শীতের সকাল রৌদ্রময় হলে ,শিশুকে কিছুক্ষণ সূর্যের আলোতে বাইরে রাখা ভালো। সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি থাকে। ভিটামিন-ডি শিশুদের হাড় বেঁকে যাওয়ার সমস্যা দূর করে। শীতকালের রোদ খুব বেশি তীব্র হয় না। বরং তা ত্বকের জন্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে। এই সময়ে শিশুকে কিছুক্ষণ সূর্যের আলোতে বাইরে রাখলে নানা রকম রোগ প্রতিরোধ হয়।

গরিলা মানুষের মত কথা বলতে পারে the gorilla

 

শীতে এভাবে রাখুন বাচ্চার বিশেষ খেয়াল

শীতে এভাবে রাখুন বাচ্চার বিশেষ খেয়াল

শীতকালে বেশিরভাগ সময়ে শিশুকে ঘরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এবং ঘরের তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। বাইরের ধুলাবালি ও রোগ জীবাণু থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং শিশুকে সেখানে খেলাধূলা ও বিনোদন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

শিশুর শরীরে ঠান্ডা জ্বর কাশি বা যে কোনো জটিলতা দেখা দিলে দেরি না করে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ সামান্য রোগব্যাধি শিশুর শরীরে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। বিধায় সামান্য রোগ তাদের শরীরে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে।

এজন্য শীতকালে শিশুর বিশেষ যত্ন নিতে হবে।এবং কোনরুপ সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে। এবং শিশুকে বেশিরভাগ সময়ে উষ্ম পরিবেশে রাখার চেষ্টা করতে হবে। তবে শীতকালে একটি শিশুর নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন হবে।

শীতের সৌন্দর্য ও শীতকালীন পিঠা

ইংরেজি বছরের শেষ দিন হল’ 31 শে ডিসেম্বর

You may also like

Leave a Comment

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.