যে গল্প সবার জানা উচিত

348

যে গল্প সবার জানা উচিত..

একদা একজন রাজা ছিলেন। তার চারজন স্ত্রী ছিল। চারজন স্ত্রীদের মধ্যে তিনি ছোট বউকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন।
তাকে দামী জামা কাপড় এবং হীরের গয়না কিনে দিতেন। তাকে সবচেয়ে বেশি যত্ন করতেন।

একসময় রাজার একটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। রাজা জানতে পারেন যে তার মৃত্যু নিশ্চিত। কিন্তু তিনি একা একা মারা যেতে ভয় পাচ্ছিলেন।স্ত্রীকে বললেন তুমি কি আমার সাথে মারা যেতে প্রস্তুত? আমার সাথে তুমি কি পরলোকে যেতে পারো? চতুর্থ শ্রেণীর সরাসরি জবাব দিয়ে দেয় এটা সম্ভব নয়। সে আরো জানায় – আমি আমার জীবনকে অনেক বেশি ভালোবাসি আমি আপনার সাথে মারা যেতে পারি না।তার উত্তরসূরের রাজা খুবই মর্মাহত হন।

এরপর রাজা তার তৃতীয় স্ত্রীর কাছে যান। এবং তাকেও একই প্রশ্ন করেন যে তুমি কি আমার সাথে পরলোকে যেতে পারবে?
রাজার তৃতীয় স্ত্রী একই রকম উত্তর দেয়। সে জানাই এটা কিছুতেই সম্ভব নয়।
এরপরে রাজা তার দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে যায়। এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকে অনুরোধ করে তার সাথে মারা যেতে। দ্বিতীয় স্ত্রী জানে সে এটা করতে পারবে না। বড় জোর তার মৃত্যুর পরে একটি অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে পারে এবং সেখানে উপস্থিত থাকতে পারে। এর বেশি কিছু করা তার পক্ষে সম্ভব নয়।

রাজা খুবই মর্মাহত ও ব্যথিত হয়ে পড়েন।
হঠাৎ করে একটি কণ্ঠ শোনা যায়। বলা হচ্ছিল ,আমি আপনার সাথে মারা যেতে প্রস্তুত রাজা মশাই।
রাজা লক্ষ্য করলেন এই কন্ঠটি তার প্রথম স্ত্রীয়ের যাকে তিনি সবচেয়ে বেশি অবহেলা করেছেন।
রাজা যখন নিজের ভুল বুঝতে পারলেন এবং প্রথম স্ত্রী কে বললেন আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। তুমি আমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসো। আমার উচিত ছিল তোমাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করা এবং যত্ন নেওয়া।
ঠিক সেরকমই চারজন স্ত্রী এর সাথে তুলনা করা যায় আমাদের শরীরকে।
চতুর্থ শ্রেণী হলো আমাদের শরীর। কারন আমরা মারা গেলে শরীর আমাদের সাথে যাবে না।
তৃতীয় স্ত্রী হলো আমাদের ধন-সম্পদ। কারণ আমরা মারা যাওয়ার পরে ধন-সম্পদ আমাদের সাথে যাবে না বরং ধন সম্পদের জন্য আমাদের পরকালের হিসাব দিতে হবে।

দ্বিতীয় স্ত্রী হলো আমাদের বন্ধুবান্ধব যারা আমাদের মৃত্যুর পর জানা যায় বা কোন আচার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবে কিন্তু আমাদের সাথে যাবে না।

এবং প্রথম স্ত্রী হল আমাদের আমল এবং সৎকর্ম। কেবলমাত্র সৎকর্ম এবং আমল আমাদের সাথে যাবে মৃত্যুর পর।

এবং এই আমলে আমরা সবচেয়ে বেশি অবহেলা করি। সবচেয়ে বেশি যত্ন নেই শরীর এবং ধন-সম্পদের এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে সময় কাটাই।আমাদের সবার উচিত নিজের আমল এবং ভালো কাজের প্রতি খেয়াল রাখা। কারণ মৃত্যুর পর আমাদেরকে বিচার করা হবে একমাত্র সৎকর্ম দিয়ে।

তাই জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ বুঝে শুনে ফেলতে হবে এবং যাতে কোন খারাপ কাজ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবেহঠাৎ করে একটি কণ্ঠ শোনা যায়। বলা হচ্ছিল ,আমি আপনার সাথে মারা যেতে প্রস্তুত রাজা মশাই।
রাজা লক্ষ্য করলেন এই কন্ঠটি তার প্রথম স্ত্রীয়ের যাকে তিনি সবচেয়ে বেশি অবহেলা করেছেন।
রাজা যখন নিজের ভুল বুঝতে পারলেন এবং প্রথম স্ত্রী কে বললেন আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থী।

তুমি আমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসো। আমার উচিত ছিল তোমাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করা এবং যত্ন নেওয়া।
ঠিক সেরকমই চারজন স্ত্রী এর সাথে তুলনা করা যায় আমাদের শরীরকে।
চতুর্থ শ্রেণী হলো আমাদের শরীর। কারন আমরা মারা গেলে শরীর আমাদের সাথে যাবে না।
তৃতীয় স্ত্রী হলো আমাদের ধন-সম্পদ। কারণ আমরা মারা যাওয়ার পরে ধন-সম্পদ আমাদের সাথে যাবে না বরং ধন সম্পদের জন্য আমাদের পরকালের হিসাব দিতে হবে।

একসময় রাজার একটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। রাজা জানতে পারেন যে তার মৃত্যু নিশ্চিত। কিন্তু তিনি একা একা মারা যেতে ভয় পাচ্ছিলেন।স্ত্রীকে বললেন তুমি কি আমার সাথে মারা যেতে প্রস্তুত? আমার সাথে তুমি কি পরলোকে যেতে পারো? চতুর্থ শ্রেণীর সরাসরি জবাব দিয়ে দেয় এটা সম্ভব নয়। সে আরো জানায় – আমি আমার জীবনকে অনেক বেশি ভালোবাসি আমি আপনার সাথে মারা যেতে পারি না।তার উত্তরসূরের রাজা খুবই মর্মাহত হন।

ভারতিয় উপমহাদেশে ইউরোপীয়দের আগমনের ইতিহাস থেকে পাকিস্তানি শাসন আমল