যে পাঁচটি খাবার আপনাকে সুস্থ রাখবে:
যে পাঁচটি খাবার আপনাকে সুস্থ রাখবে …সুস্থতা মানেই সুখ। একটি সুস্থ স্বাভাবিক জীবন মানুষের জন্য খুবই সৌভাগ্যের একটি বিষয়। বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না যে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। প্রত্যেক মানুষই শরীরের বিভিন্ন রকম জটিলতায় ভুগছে। শারীরিক জটিলতা গুলোর প্রধান কারণ হচ্ছে খাবার। খাবারের অনিয়ম কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য মানুষ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এজন্য শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক পোশাকের রাখতে আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিয়মমাফিক খেতে হবে। আজকে আমরা জেনে নেব যে পাঁচটি খাবার আপনাকে সুস্থ রাখবে।
১. দুধ: দুধ এমন একটি খাদ্য উপাদান যেখানে সরকারের আমি স্নেহ ভিটামিন পানি ও খনিজ লবণ অর্থাৎ খাবারের অত্যাবশ্যকীয় ছয়টি পুষ্টি উপাদানে উপস্থিত থাকে।দুধ একটি সুস্বাদু খাবারও বটে। দুধে সবরকম পুষ্টি উপাদান উপস্থিত থাকায় শরীরের বিভিন্ন রকম রোগ বালাই থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। দুধ আমাদের হজম শক্তি বাড়ায় এবং পেটের বিভিন্ন রকম জটিলতা থেকে মুক্তি দেয়। দুধ আমাদের হাড়কে মজবুত করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। এজন্য ছোটদের প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস করে দুধ খাওয়া উচিত এবং প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন দুধ খাওয়া উচিত।
২. বাদাম: বাদাম একটি স্নেহ জাতীয় খাবার। বাদাম আকারে ছোট হলেও এর পুষ্টি উপাদান অনেক বেশি। বাদাম ও বাদাম থেকে তৈরি বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার আমাদের শরীরে স্নেহের ঘাটতি পূরণ করে। আমাদের মধ্যে যারা রুগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী, তারা নিয়মিত বাদাম খেলে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন। এছাড়া বাদাম চুল পড়া প্রতিরোধ করে। বাদাম থেকে তৈরি তেল দিয়ে বিভিন্ন রকম সুস্বাদু খাবার রান্না করে খেতে পারেন যা আপনার শরীরে তেলের ঘাটতি পূরণ করবে। এবং শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখবে।
৩. শাক: বিভিন্ন রকম শাক যেমন লাউ শাক, পালং শাক ,কলমি শাক কুমড়োর পাতা, লাল শাক ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও খনিজ লবণে সমৃদ্ধ। শাক আমাদের মেটাবলিজম বাড়ায়। পেটের বিভিন্ন রকম অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে শাকের জুরি নেই। এছাড়া আমাদের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাতে সাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের ত্বক সতেজ রাখে। শাক এমন একটি খাদ্য উপাদান যা বেশি পরিমাণে খেলেও কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই। কারণ আপনি যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত গরুর মাংস কিংবা চর্বি জাতীয় খাবার খান তাহলে শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়বে। কিন্তু আপনি যদি আপনার প্রয়োজনমতো শাকিব খান তাহলে শরীরে কোন রকম খারাপ প্রভাব দেখা দিবে না।
৪. ছোট মাছ: ছোট মাছ আমাদের চোখকে ভালো রাখে। বাচ্চারা সাধারণত ছোট মাছ খেতে চায় না তবে কোনোভাবে তাদেরকে ছোট মাছ খাওয়ানো শিখাতে হবে কারণ, ছোট মাছ আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এছাড়া ছোট মাছের যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকে অনেক বড় মাছের সেই পুষ্টি উপাদান থাকে না। শুধু ছোট মাছ নয় বড় মাছের ডিম ও আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এজন্য প্রতিদিন কমপক্ষে একবেলা ছোট মাছ খাবারের তালিকা রাখতে হবে।
৪. কালোজিরা: কালোজিরা আলাদা কোন খাদ্য উপাদান নয় কিন্তু এটি অন্য খাবারের সাথে ব্যবহার করা যায়। কালোজিরা সব রকম ঔষধি গুনসম্পন্ন। এটি ৭০ টি এর ও বেশি রোগের মহৌষধ। তাই সব রকম খাবারের কালোজিরা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে কালোজিরা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই কালোজিরা সহ পানি টুকু খেয়ে ফেললে শরীরে কোনরকম রোগ বালাই বাসা বাঁধতে পারবে না। এটি শরীরে ঔষধের মতো কাজ করে। বর্তমানে ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রকম দুলাভাইজ্ঞ রোগের ঔষধ তৈরি হচ্ছে কালোজিরা থেকে। তাই খাদ্য তালিকায় কালোজিরা রাখার চেষ্টা করতে হবে।
৫. ডিম: ডিম এর কুসুম একটি স্নেহ জাতীয় খাবার তবে সাদা অংশ স্নেহ জাতীয় খাবার নয়। ডিম এমন একটি খাবার যা আমাদের শরীরকে সুস্বাস্থ্যময় করতে সাহায্য করে। ডিম ও ডিম দিয়ে তৈরি বিভিন্ন রকম সুস্বাদু খাবার খেতে যেমন লোভনীয় তেমনি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডিমের অভাবে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কাজ করার জন্য উপযুক্ত শক্তি পায় না। তাই পর্যাপ্ত কর্মক্ষমতা অর্জন করার জন্য এবং বিভিন্ন রকম রোগ বালাইয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য ডিম খেতে হবে। ডিম সেদ্ধ অধিক স্বাস্থ্যকর। তবে যারা উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিস রোগের শিকার তাদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী পরিণত পরিমাণে স্নেহ জাতীয় খাবার খেতে হবে।
সুতরাং বলা যায় এই ধরনের খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি একটি স্বাস্থ্যসম্মত জীবন এর আশা করতে পারেন। তবে অবশ্যই খাদ্য তালিকা হতে হবে নিয়মমাফিক অর্থাৎ সুস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খেতে হবে