নিজেকে পরিবর্তন করবেন যেভাবে
পরিবর্তন দুই ধরনের: ইতিবাচক পরিবর্তন এবং নেতিবাচক পরিবর্তন। নিজেকে পরিবর্তনের কথা উঠলেই সবার আগে ইতিবাচক পরিবর্তনের কথাই মাথায় আসে। কারণ সব মানুষই চায় নিজেকে পরিবর্তন করে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে। নিজের অবস্থান উন্নতি ঘটানোর ইচ্ছা সবারই আছে। তাই আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে নিজেকে পরিবর্তন করবেন কি উপায়ে! চলুন জেনে নেয়া যাক।
নিজেকে পরিবর্তনের সর্বপ্রথম উপায় হল নিজেকে বোঝা, নিজেকে গুরুত্ব দেওয়া। নিজের মতামত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা। এবং প্রত্যেক মানুষের কাছে ওজন বজায় রেখে চলার চেষ্টা করা। এই ওজন বলতে শারীরিক ওজন বোঝায় না, ব্যক্তিত্বের ওজন বোঝায়। নিজের ব্যক্তিত্বকে শক্ত অবস্থানে রাখতে হবে। কথা কম বলার অভ্যাস করতে হবে। এবং যে কথাটি আপনি বলবেন অত্যন্ত ভেবে বলার চেষ্টা করবেন। অতিরিক্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকুন এবং ভুলভাল কথা না বলার চেষ্টা করুন। কারণ বেশি কথা বললে মানুষের কাছে ব্যক্তিত্ব হারাবেন। এবং কারো গুরুত্ব পাবেন না।
এরপরে আসে লক্ষ্য নির্ধারণ। আপনার জীবনের লক্ষ্য সবার আগে স্থির করুন। এবং সেই অনুযায়ী এগিয়ে চলুন। নিজেকে প্রচুর পরিমাণে সময় দিতে হবে এবং প্রবল আত্মবিশ্বাস এবং অধ্যবসয়ের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। হেরে গেলে হতাশ হবেন না বরং হেরে যাওয়াকে একটি সুযোগ হিসেবে কাজে লাগান। আত্মবিশ্বাস এর সাথে বারবার চেষ্টা করলে জয় নিশ্চিত। আপনাকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য কাউকে জোর করবেন না। কারো পিছে ঘুরে আপনার ব্যক্তিত্ব নষ্ট করবেন না। বরং যে আপনার জন্য নির্ধারিত সে আপনা আপনি ধরা দেবে। যেভাবে হোক নিজের আয়ের একটি উৎস তৈরি করুন। আর্থিক দিক থেকে অন্য কারো উপর নির্ভরশীল হওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো।
ব্যক্তিত্ব গঠনের সর্বপ্রথম হাতিয়ার হল নিজের উপার্জন নিজে করা। কথা দিয়ে কথার খেলাপ করবেন না। কথা দিয়ে কথা না রাখলে অন্যদের কাছে আপনার ব্যক্তিত্ব নষ্ট হবে। তাই ভেবে চিন্তে কথা বলুন এবং এমন কোন কথা বলবেন না যে আপনি রাখতে পারবেন না।অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিন। এছাড়া সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস রাখা সবার আগে প্রয়োজন। ধর্মীয় অনুসিদ্ধান্ত গুলো মেনে চলুন। সর্বোপরি সবার মতামতকে সম্মান করা এবং নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে প্রবল এত বিশ্বাসের সাহায্যে এগিয়ে চলাই হল জীবন। জীবনকে বুঝতে হবে জীবনের সব রকম প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে ভেঙে পড়লে চলবে না। নিজের ব্যক্তিত্ব সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য সব সময় সচেষ্ট থাকতে হবে। নিজেকে জানতে হবে এবং নিজেকে সময় দিতে হবে প্রতিষ্ঠার জন্য।
ক্ষমা করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। যে আপনাকে কষ্ট দিয়েছে তাকে ক্ষমা করতে শিখুন এবং তাকে ভুলে গিয়ে নতুনভাবে এগিয়ে চলার প্রবণতা তৈরি করুন। তবেই জীবনে জয়ের স্বাদ লাভ করা সম্ভব।