ওজন কমানোর কিছু কার্যকরী উপায়
অতিরিক্ত ওজন মানুষের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে। আমাদের অনেকের চেহারা অত্যন্ত আকর্ষণীয় কিন্তু অতিরিক্ত ওজনের কারণে চেহারার আকর্ষণীয় ভাব হারিয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত ওজন নিয়ে অনেকেই চিন্তিত।
সৌন্দর্য নাশ ছাড়াও অতিরিক্ত ওজন মানুষের শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যার সৃষ্টি করে। শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে।
এছাড়া অতিরিক্ত স্থূলতার কারণে মানুষের চলাফেরা ও কাজকর্ম করতে সমস্যা হয়।
তাই অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেললে জীবন অনেকটা সহজ ও সুন্দর হবে।
আজকে আমরা জেনে নেব শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর কিছু কার্যকরী উপায়।
ওজন কমানো সমস্যা সম্মুখীন হলে আপনি কিছু কার্যকরী উপায় অনুসরণ করতে পারেন। একটি সম্পূর্ণ ওজন প্রবন্ধের সাথে এই উপায়গুলি সংযুক্ত হয়েছে:
- নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করা ওজন কমানোর একটি অত্যন্ত কার্যকর উপায়। নির্দিষ্ট সময়ে আপনি ব্যায়াম করতে পারেন যা আপনার পুরো শরীরকে উত্তেজিত এবং সুস্থ রাখবে। ব্যায়াম করার জন্য আপনি জগতের বেশিরভাগ প্রান্তে স্থানীয় জিমে সম্পূর্ণ সুবিধা পাবেন। আপনি বাসায় থাকলে সহজেই হাতের সহায়তায় ওয়েট লিফটিং বা অন্যান্য ব্যায়াম করতে পারেন।
- খাবারের কণ্ট্রোল: খাবারের পরিমাণ কমানো ওজন কমানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। স্বাস্থ্যকর খাবার কিছু খাবার সমূহ যা কার্বোহাইড্রেট এবং প্রয়োজ

ওজন কমানোর কিছু কার্যকরী উপায়
ওজন কমানোর জন্য সবার আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ। এটাই স্বাভাবিক যে বেশি বেশি খাদ্য গ্রহণ করলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে।
তাই সবার আগে একটি খাদ্য নিয়ন্ত্রণ তালিকা তৈরি করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী প্রতিদিন চলার অভ্যাস করতে হবে।
যেমন ধরুন আপনি দিনে এক বেলা ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন। সকালে ও রাতে হালকা নাস্তা করুন। সকালে আপনি যে সকল খাবার খেতে পারেন তা হল: শসা, যেকোনো একটি ফল, পাউরুটি কলা ডিম বিস্কিট ইত্যাদি।
তবে যাই খাবেন একটি নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাবেন।
এরপর সকাল ও দুপুরের মাঝখানে অন্য কোন হালকা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন যেহেতু আপনি ওজন কমাতে যাচ্ছেন।
সকালে খাওয়ার পূর্বে আপনি এক কাপ গ্রিন টি খেতে পারেন। এবং গ্রিন টি খাওয়ার পর কিছুটা সময় আপনি হাটাহাটি দৌড়াদৌড়ি ও ব্যায়াম করবেন।
অতিরিক্ত বসে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ দিনের বেশিরভাগ সময় বিশ্রাম নেওয়ার কারণেই মানুষের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়।
এরপর দুপুরের খাবারে আপনি এক থেকে দেড় কাপ ভাত খেতে পারেন। অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। দুপুরে আপনি বিরিয়ানি বা রোস্ট বা পোলাও এ সকল খাবার খাবেন না।
ভাতের সাথে মাছ মাংস ডাল ডিম সবজি ইত্যাদি গ্রহণ করুন।
প্রচুর পরিমাণে সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ভাতের পরিমাণ কম রাখার চেষ্টা করুন।
যে সকল সবজি পানিজাতীয় যেমন লাউ শসা পেঁপে ইত্যাদি আপনি বেশি বেশি খাবেন। এগুলো মানুষের শরীরের ওজন কমাতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
বিকালে হালকা নাস্তা করতে পারেন তবে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাবেন না। তেল চর্বি জাতীয় খাবার যেমন সিঙ্গারা পুরি ফুচকা বার্গার চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি আপনার শরীরের ওজনকে অনেক তাড়াতাড়ি বাড়িয়ে দিবে। তাই বিকালবেলা আপনি এক বাটি সবজি খেতে পারেন। অথবা কোন একটি ফল খেতে পারেন।
আরো একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন তা হল কোমল পানীয় মানুষের শরীরের ওজন খুব তাড়াতাড়ি বাড়ায়।
কারণ কোমল পানি হতে প্রচুর পরিমাণ চিনি দ্রবীভূত থাকে। আর মিষ্টি জাতীয় খাদ্যই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে।
তাই কোমল পানীয় ও অন্যান্য মিষ্টি জাতীয় খাদ্য পরিহার করুন।

ওজন কমানোর কিছু কার্যকরী উপায়
এরপর রাতের খাবারের আপনি একটি বা দুটি রুটি খেতে পারেন। রাতে ভাত খাওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো। রুটির সাথে আপনি সাধারণ তরকারি বা ডাল খেতে পারেন।ঘুমানোর পূর্বে আপনি এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে নিবেন।কারণ সারাদিন খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করার কারণে আপনার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি সৃষ্টি হবে।আর দুধ এমন একটি খাবার যেখানে সবরকম পুষ্টি উপাদান সঠিক পরিমাণে বন্টিত আছে।
তাই ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে ঘুমাতে যাবেন।খাওয়ার পর কিছুটা ব্যায়াম করে তারপর বিছানায় যাবেন। খাওয়ার সাথে ঘুমিয়ে পড়লে শরীরের ওজন বাড়ে।এছাড়া দুশ্চিন্তা মুক্ত ও হাসি খুশি জীবন যাপন করার চেষ্টা করুন। ঘরে বসে অবসর সময় মোবাইল ফোনে সময় না দিয়ে বাইরে গিয়ে কিছুটা হাঁটাহাঁটি করুন এবং বন্ধুবান্ধব ও পরিবারকে সময় দিন।অতিরিক্ত বসে থাকার কারণে শরীরের ওজন বেড়ে যায়।তাই খাদ্য নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যকর ও সঠিক নিয়মে জীবন যাপন করলে শরীরের ওজন সঠিক মাত্রায় চলে আসবে
রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীরা কিভাবে শরীরের যত্ন নিবেন??
1 comment
[…] অধিকারী হওয়ার কিছু প্রাকৃতিক উপায় ওজন কমানোর কিছু কার্যকরী উপায় ক্রিকেট কেন এত জনপ্রিয় ছাত্র জীবনে […]