Warning: The use statement with non-compound name 'AllowDynamicProperties' has no effect in /home/bayearn/public_html/mohajagotik.com/wp-content/plugins/wp-user-frontend/wpuf.php on line 37 Warning: The use statement with non-compound name 'AllowDynamicProperties' has no effect in /home/bayearn/public_html/mohajagotik.com/wp-content/plugins/wp-user-frontend/Lib/invisible_recaptcha.php on line 20 ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী। 2024

Stay Tuned!

Subscribe to our newsletter to get our newest articles instantly!

বিশ্ব ভারত রাজনীতি

ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী

ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী।

ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী।

ইন্দিরা গান্ধীই হলেন একমাত্র মহিলা যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। পারিবারিক পরিচয়ে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর কন্যা ইন্দিরা ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ এবং পুনরায় ১৯৮০ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে নিহত হওয়ার দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন।

তিনি ভারতের উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর কন্যা ইন্দিরার ছাত্র জীবন কেটেছে স্যুইজারল্যান্ডের বেকস্-এ ইকোলে নোভেল, জেনেভার ইকোলে ইন্টারন্যাশনাল, পুণে ও বোম্বাই-এর পিউপিল্স ওন স্কুল, ব্রিস্টলের ব্যাডমিন্টন স্কুল, শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী এবং অক্সফোর্ডের সামারভিল কলেজে। বিশ্বের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ই তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রিতে সম্মানিত করেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধী ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন।

শৈশবে তিনি চড়কা সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁকে কারাবন্দী করা হয় ১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ১৯৪৭ সালে মহাত্মা গান্ধীর নির্দেশে তিনি দিল্লির দাঙ্গা বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে কাজ করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তারই দুই দেহরক্ষীর গুলিতে প্রাণ হারান আজ থেকে ৩৪ বছর আগে। ১৯৮৪ সালের ৩১শে অক্টোবর। স্বর্ণ মন্দিরে সেনা অপারেশনের বদলা নিয়েছিল তারা প্রধানমন্ত্রীকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়। রাজধানী ভুবনেশ্বর শহরের সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধীর বেশ কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তবে বেশিরভাগ স্মৃতিই আনন্দের নয়।

এই শহরেই তার বাবা জওহরলাল নেহরু প্রথমবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তারপরেই ১৯৬৪ সালের মে মাসে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।সেই ভুবনেশ্বর শহরেই ১৯৮৪ সালের ৩০শে অক্টোবর জীবনের শেষ ভাষণটা দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। প্রতিটা ভাষণের মতোই ওই ভাষণও লিখে দিয়েছিলেন ইন্দিরার মিডিয়া উপদেষ্টা।

ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী।

ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী।
ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী।

ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী

কিন্তু ভাষণ দিতে দিতে হঠাৎই লেখা বয়ান থেকে সরে গিয়ে নিজের মতো বলতে শুরু করেন ইন্দিরা। তার বলার ধরনও পাল্টে গিয়েছিল সেদিন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আজ এখানে রয়েছি। কাল নাও থাকতে পারি। এটা নিয়ে ভাবি না যে আমি থাকলাম কী না। অনেকদিন বেঁচেছি।

আর আমার গর্ব আছে যে আমি পুরো জীবনটাই দেশের মানুষের সেবায় কাজে লাগাতে পেরেছি বলে। আর শেষ নিশ্বাসটা নেওয়া পর্যন্ত আমি সেটাই করে যাব। আর যেদিন মরে যাব, আমার রক্তের প্রতিটা ফোঁটা ভারতকে আরও মজবুত করার কাজে লাগবে।কখনও কখনও বোধহয় শব্দের মাধ্যমেই নিয়তি ভবিষ্যতের একটা ইশারা দিয়ে দেয়।

সেই রাতেই দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। খুব ক্লান্ত ছিলেন। সারা রাত প্রায় ঘুমান নি। পাশের ঘরে সোনিয়া গান্ধী ঘুমচ্ছিলেন। ভোর প্রায় চারটে নাগাদ শরীরটা খারাপ লাগছিল সোনিয়ার। বাথরুমের দিকে যাচ্ছিলেন। সেখানে ওষুধও রাখা থাকত।

সোনিয়া গান্ধী নিজের বই ‘ উনি জেগেই আছেন।সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কালো পাড় দেওয়া একটা গেরুয়া রঙের শাড়ি পড়েছিলেন মিসেস গান্ধী সেদিন। দিনের প্রথম অ্যাপয়েন্টমেন্টটা ছিল পিটার উস্তিনভের সঙ্গে। তিনি ইন্দিরা গান্ধীর ওপরে একটা তথ্যচিত্র বানাচ্ছিলেন সেই সময়ে।

আগের দিন ওড়িশা সফরের সময়েও তিনি শুটিং করেছিলেন।দুপুরে ইন্দিরার সাথে দেখা করার কথা ছিল ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জেমস ক্যালিঘান আর মিজোরামের এক নেতার সঙ্গে। সন্ধ্যায় ব্রিটেনের রাজকুমারী অ্যানের সম্মানে একটা ডিনার দেওয়ার কথা ছিল তার। তৈরি হয়েই নাস্তার টেবিলে এসেছিলেন তিনি। দুটো পাউরুটি টোস্ট, কিছুটা সিরিয়াল, মুসাম্বির জুস আর ডিম ছিল সেদিনের নাস্তায়।

নাস্তার পরেই মেকআপ ম্যান তার মুখে সামান্য পাউডার আর ব্লাশার লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তখনই হাজির হন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার কে পি মাথুর। রোজ ওই সময়েই ইন্দিরা গান্ধীকে পরীক্ষা করতে যেতেন তিনি। ভেতরে ডেকে নিয়েছিলেন ডাক্তার মাথুরকে।

ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী।

ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী।
ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী।

ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী

হাসতে হাসতে বলেছিলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড রিগান কী রকম অতিরিক্ত মেকআপ করেন, যখন ৮০ বছর বয়সেও তার মাথার বেশির ভাগ চুল কালোই রয়েছে। ঘড়িতে যখন ন’টা দশ মিনিট, ইন্দিরা গান্ধী বাইরে বের হলেন। বেশ রোদ ঝলমলে দিনটা।

তবুও রোদ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আড়াল করতে সেপাই নারায়ণ সিং একটা কালো ছাতা নিয়ে পাশে পাশে হাঁটছিলেন। কয়েক পা পেছনেই ছিলেন ব্যক্তিগত সচিব আর কে ধাওয়ান আর তারও পেছনে ছিলেন ব্যক্তিগত পরিচারক নাথু রাম।

সকলের পেছনে আসছিলেন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসার, সাব ইন্সপেক্টর রামেশ্বর দয়াল। ঠিক সেই সময়েই সামনে দিয়ে এক কর্মচারী হাতে একটা চায়ের সেট নিয়ে পেরিয়ে গিয়েছিলেন। এবং তারপর তার শরীরে গুলি লাগে এবং তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
তবে ইন্দিরা গান্ধী সমগ্র ভারতবাসীর জন্য একটি আদর্শ স্বরূপ। সবাই তাকে সম্মানের চোখে দেখে এবং তাকে জীবনের একটি উত্তম আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করে।

নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে সকল তথ্য:

ইমরান খান সম্পর্কে যে তথ্য গুলা আপনি জানেন না Top 10 information

Avatar

Md Limon

About Author

1 Comment

  1. মার্ক জুকারবার্গ সম্পর্কে সকল তথ্য: - Mohajagotik

    January 13, 2023

    […] লাগাবেন,,,? দশটি ঔষধী গাছের ব্যাখ্যা… ইন্দিরা গান্ধী ভারতের একমাত্র প্রধান… নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে সকল তথ্য: […]

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like

পাকিস্তান বিশ্ব

পাকিন্তানের পতাকা জটিলতা ও বাংলাদেশের ক্রিকেট..!

পাকিন্তানের পতাকা জটিলতা ও বাংলাদেশের ক্রিকেট..! পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্কের চুরান্ত অবনতি ঘটে ১৯৭১ সালে। যখন পাকিস্তান নিরিহ মানুষদের অন্যায়
ভারতিয় উপমহাদেশে ইউরোপীয়দের আগমনের ইতিহাস
জানা অজানা পাকিস্তান ভারত

ভারতিয় উপমহাদেশে ইউরোপীয়দের আগমনের ইতিহাস থেকে পাকিস্তানি শাসন আমল

আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। এটি বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষে অবস্থিত। এই ভারতে ইউরোপিয়ানরা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেছিল। মধ্য যুগে আরবদের সঙ্গে