প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার সহজ উপায়। পুরুষ ও মহিলা সবার জন্য

by Md Limon

ফর্সা চেহারা কে না পছন্দ করে। সবাই চায় ফর্সা ত্বক পেতে। কারণ অর্জুন চেহারা যেমন দেখতে সুন্দর, তেমনি একজন মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। একসময় চেহারার গরম সুন্দর না হলেও শুধুমাত্র ফর্সা হওয়ার জন্য একজন মানুষকে সুন্দর লাগে। এজন্য আমাদের জেনে নেওয়া জরুরী প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার কিছু উপায়। আমরা অনেক সময় নানা রকম ঔষধ এবং ক্রিম ব্যবহার করি। বিভিন্ন কোম্পানির ক্রিম ব্যবহার করে, বেশিরভাগ সময়ে সুফল এর পরিবর্তে গুগোল পেয়ে থাকি আমরা। কারণ কৃত্রিম হিসাব ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ক্রিম নানারকম রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করে তৈরি হয়। এসব ভিডিও বডি তৈরি করার সময় পিএইচ মান ঠিক রাখা হয় না। আমাদের ত্বকের পিএইচ মান ৫.৫ এবং এই পিএইচ মানের উপরে কোন ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার কিছু উপায় আমরা জেনে নিই।

১.প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়া।কারণ ঠান্ডা পানি ব্যবহারে ত্বকের মধ্যকার সূক্ষ্ম ময়লা বেরিয়ে যায়। জন্য সকাল-বিকাল নিয়মিত ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করার ক্ষেত্রেও একই উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। এতে সারা দেহে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া এক টুকরো বরফ একটি পাতলা কাপড়ে জড়িয়ে তা দিয়ে মুখে আলতো করে মালিশ করতে হবে। এটি ঠাণ্ডা পানি ব্যবহারের পরিবর্তেও করা যায়।

মুখে অবাঞ্ছিত লোম | মেয়েদের সমস্যাটির কারণ ও প্রতিকার জানেন?

২. প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক ফর্সা করার আরেকটি উপায় হল নিমপাতার নির্যাস ব্যবহার করা। নিম পাতা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিমপাতাত্বকের অভ্যন্তরীণ ময়লা বের করে আনতে সাহায্য করে। কিছু সজীব ও কচি নিম পাতা নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর তার পেস্ট করে নিতে হবে। তারপর নিমপাতার পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে নিতে হবে। এক ঘণ্টা সময় অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। নিমপাতা ব্যবহারে ত্বকের ছত্রাক জনিত বিভিন্ন রোগ এবং এলার্জি দূর হয়।

৩. ত্বক ফর্সা করার একটি ভালো উপায় হল দই ব্যবহার করা। দই এর উপরের মাখন অংশটি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি ব্যবহার করে প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা করা যায়।

৪. এছাড়া মুলতানি মাটি ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। আমাদের দেশে মুলতানি মাটি খুবই সহজলভ্য। মুলতানি মাটি কিছু দিন রোদে শুকিয়ে দীর্ঘদিন ত্বকে ব্যবহার করা যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে মুলতানি মাটি যেন জীবাণুমুক্ত এবং পরিষ্কার হয়। এক সময় মানুষ এটি সাবানের পরিবর্তে ব্যবহার করত। এটি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত প্রাকৃতিক সাবান। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এটি সাহায্য করে।

৫. এছাড়া তোকে অনেক সময় কালো কালো দাগ সৃষ্টি হয়। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। এ ক্ষেত্রে আলুর রস এসব কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। চোখের নিচের কালো দাগ, নাকের দুই পাশে কালো দাগ ইত্যাদি দূর করার জন্য আলু কেটে সে আলুর রস কালো দাগের আলতোভাবে ঘষতে হবে। এটি একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত ভাল পদ্ধতি।

৬. মুসুরির ডাল বাটা ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। পরিষ্কার কেজি মসুরের ডাল নিয়ে পেস্ট করে ত্বকে লাগাতে হবে।কিছুক্ষণ সময় অপেক্ষা করে তা ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মসুরের ডাল বাটা ব্যবহার করে খুব কম সময়ে ফর্সা ত্বক পাওয়া সম্ভব।মসুরের ডাল বাটার এর পরিবর্তে বাজার থেকে কেনা বেসন ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ বেসন তৈরি হয় ডালের গুঁড়া থেকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে তাতে যেন মরিচের গুঁড়া বা অন্যকোন ঝাল দ্রব্যাদি না যায়। বর্তমানে আমাদের দেশে ত্বক ফর্সা করার বিভিন্ন ফেয়ারনেস ক্রিম বের হয়েছে। এগুলো মূলত কৃত্রিমভাবে তৈরি। দাদা এরকম ঔষধ ও কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয় এসব দ্রব্যাদি তৈরিতে। এগুলো মোটেও মানসম্মত নয়। আমাদের ত্বক খুবই স্পর্শ কাতর। এজন্য ত্বকের উপযোগী দ্রব্যাদি ব্যবহার করতে হবে। কৃত্রিম দ্রব্য ব্যবহার করলে ত্বকের নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়।এসব ব্যাবহার করে মানুষ উপকার এর পরিবর্তে নানা রকম ক্ষতি সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া ত্বকের ক্যান্সার পর্যন্ত সৃষ্টি হয়। এজন্য যথাসম্ভব প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে ত্বকের যত্নে। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার দ্রব্যাদি গুলো সহজলভ্য এবং সেগুলো কোনোভাবেই ব্যয়বহুল নয়। এভাবে আমাদের হাতের কাছের ঘরোয়া উপাদান দিয়ে আমরা প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হতে পারি। সেই সাথে কোনরকম ক্ষতি ছাড়াই এবং সব রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই সুন্দর চেহারার অধিকারী হওয়া সম্ভব।

You may also like

Leave a Comment