ত্বক ফর্সা করতে যা করবেন:
সুন্দর ও উজ্জ্বল চেহারা সবাই ভালবাসে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে উজ্জ্বল ত্বক দান করেননি। তাই সবচেয়ে ভালো উপায় হল নিজের চেহারা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা। তবে যারা নিজেদের চেহারা নিয়ে একান্তই হতাশ তাদের জন্যই আজকের লেখা।
ত্বক ফর্সা করতে অনেক উপায় রয়েছে। নিম্নোক্ত উপায় মুখ্যভাবে ত্বক ফর্সা করতে সহায়তা করতে পারে:
- পানি পরিমানবহুল পান করুন: ত্বক ফর্সা করতে পানি পরিমানবহুল পান করা উচিত।
- ত্বক পরিত্যক্ত পান্ডুলিং করুন: ত্বক ফর্সা করতে ত্বক পরিত্যক্ত পান্ডুলিং করা উচিত।
- কম তাপমাত্রায় বাতিল করুন: ত্বক ফর্সা করতে কম তাপমাত্রায় বাতিল করা উচিত।
- ফুল আন্তরিক পর্যবেক্ষণ করুন: ত্বক ফর্সা করতে ফুল আন্তরিক
আপনার ত্বক যদি কিছুটা সামলা হয় তাহলে তার পরিচর্যার মাধ্যমে ফর্সা করা সম্ভব।শুধুমাত্র দরকার আপনার ইচ্ছা এবং প্রচেষ্টা।
তবে ত্বক ফর্সা করা কোন রাতারাতি ব্যাপার নয় বরং বহুদিন আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়া ও ধৈর্য ধরার মাধ্যমে আপনার সাফল্য আসবে।
ত্বক ফর্সা করার সবচেয়ে ভালো উপায় হল ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়া। একটি কথা শুনে আপনারা অবাক হবেন সেটা হল আমরা কেউই নিজের ত্বকের আসল রং জানি না।
কারন আমাদের যে ত্বক আমরা দেখতে পাই তাতে অনেক ধুলো ময়লা লেগে থাকে। এসব ধুলো ময়লা খালি চোখে দেখা যায় না।
ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার মাধ্যমে ত্বকের সব ধুলো ময়লা বেরিয়ে আসে। লোমকূপের মধ্যে আটকে থাকা ময়লা গুলো ঠান্ডা পানির সাথে বেরিয়ে আসে।
তাই দিনে কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় বার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। মুখ ধোয়ার সময় মুখে আলতো করে মাসাজ করুন। তাহলে আপনার ত্বকের ভিতরকার ময়লা গুলো বের হতে সাহায্য করবে।
ত্বক ফর্সা করার জন্য আপনি ত্বক হলুদ ব্যবহার করুন। বাজার থেকে কেনা পাউডার হলুদ ব্যবহার করা উচিত নয়।
বরং আজতো হলুদ কিনুন এবং তা হামানদিস্তা বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করার মাধ্যমে পেস্ট করে নিন। এরপর কিছু সময় আপনি ঠান্ডা পরিবেশে হলুদ রেখে দিন।
এরপর আপনার তোকে পাতলা করে হলুদের একটি প্রলেপ দিয়ে প্রায় এক ঘন্টা সময় অপেক্ষা করুন। এভাবে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনার ত্বক অনেকটা উজ্জ্বল হবে।
অনেক সময় আমরা দৈনন্দিন কাজের জন্য ত্বকের যত্ন নেয়ার সময় পাইনা। আপনি রাতে ঘুমানোর আগে হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ইচ্ছামত যে কোন সময় অবসর পেলে তখনই আপনি মুখে পেস্টটি ব্যবহার করতে পারেন। আবার গোসলের পূর্বে আপনার মুখে হলুদ লাগিয়ে গোসলের সময় ধুয়ে ফেললেও চলবে।
মসুরের ডাল বাটা আপনার ত্বকের ব্যবহার করলে আপনার ত্বক নিশ্চিতভাবে একটু হলেও উজ্জ্বল হবে। মসুরের ডাল আমাদের ত্বকের ভেতরকার ময়লার আস্তরণ বের করে আনে। এবং মুখের ব্রণ সহ বিভিন্ন দাগ দূর করে।
বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল দেওয়া ফেসওয়াস পাওয়া যায় এগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ ফেসওয়াশ ব্যবহার করার শুরুতে হয়তো আপনার ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে কিন্তু কিছুদিন ব্যবহার না করলে আপনার ত্বক এর অবনতি ঘটবে।
মুখে ব্রণ বের হবে এবং ত্বক কালো হয়ে যাবে এমনকি চামড়া কুঁচকে যেতে পারে।টক ফর্সা করার আরো একটি উপায় হল মুলতানি মাটি। মুলতানি মাটি বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়। এর কারণ হলো মুলতানি মাটি ত্বকের জন্য ঔষধ স্বরূপ। তোকে সবরকম সমস্যার সমাধান করতে এই মাটি ব্যবহার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে।
তাই আপনার ত্বক যদি কিছুটা কালো হয় তাহলে মুলতানি মাটি ভিজিয়ে পেস্ট তৈরি করে আপনার মুখে ব্যবহার করুন। এই মুলতানি মাটির একটি বিশেষত্ব হল এই মাটির অত্যন্ত সুগন্ধযুক্ত। এটা ব্যবহার করা খুবই সহজ।
মুখ ফর্সা করার জন্য আপনার ত্বকের ভেতরকার ময়লা বের হওয়া যথেষ্ট। আর এই কাজে আপনি নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
নিম পাতা পেস্ট করে মুখে লাগালে মুখ অনেক পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে নিম পাতা মুখে লাগালে অনেকেরই চোখ জ্বালা করে।
তাই তাদের জন্য নিম পাতার সাথে কিছুটা লবণ মিশিয়ে মুখে লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছি। এতে আপনার চোখ জ্বালা করবে না এবং ত্বকের জন্য উপকার হবে।
প্রিয় পাঠক এ ধরনের উপায় গুলো অবলম্বনে মাধ্যমে আপনি একটি সুন্দর ত্বক পেতে পারেন। তবে রাতারাতি ফর্সা হওয়ার স্বপ্ন দেখা যাবে না। কারণ রাতারাতি ফর্সা হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হবে যা আপনার ত্বকে ক্যান্সার পর্যন্ত সৃষ্টি করতে পারে তাই প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বক ভালো রাখার চেষ্টা করুন
নায়িকা পূর্ণিমা(Purnima) কিভাবে সৌন্দর্য ধরে রেখেছে…