
যে ১০টি কাজ করলে আপনাকে ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে না
অসুখ-বিসুখ বা কোন শারীরিক বিরূপ অবস্থা সৃষ্টি হলে আমরা ডাক্তারের কাছে যাই।ডাক্তারের কাছে যাওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্যই হলো শারীরিক সুস্থতা লাভ।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহন করে ও নিয়ম মাফিক জীবন যাপন করে আমরা সুস্থ হ ই।
ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ে না।
আজকে আমরা জেনে নেবো এমন কিছু খাবার যা খাওয়া অত্যন্ত জরুরী এবং স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো।

যে ১০টি কাজ করলে আপনাকে ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে না
১. কালোজিরা, এটি সাধারণত রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই কালোজিরা ৭০ টি রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সকালে কিছু কালোজিরা শুকনো অবস্থায় খেয়ে পানি খেলে অনেক রকম কঠিন রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
২. সুস্থ থাকার আরো একটি খাদ্য উপাদান হলো মধু। বহু রোগের পথ্য হিসেবে কাজ করে মধু ।অনেক আগে যখন চিকিৎসাব্যবস্থা এতটা উন্নত ছিল না তখন কবিরাজরা বহু রোগীকে সুস্থ করতেন এই মধু দিয়ে।
আমাদের উচিত নিয়মিত হালকা গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করা। এতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ত্বক ভালো থাকে।
৩. সুস্থ থাকার খাদ্য উপাদানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো দুধ। দুধ এমন একটি খাদ্য উপাদান যেখানে,শর্করা আমিষ স্নেহ ভিটামিন খনিজ লবণ এবং পানি সঠিক অনুপাতে উপস্থিত থাকে। দুধ খেলে একইসাথে দেহের সব রকম পুষ্টি উপাদানের চাহিদা পূরণ হয়। এজন্য প্রতিদিন নিয়মিত এক গ্লাস দুধ পান করতে হবে।তবে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে ঘন দুধ পান করা ঠিক নয় বরং দুধে হালকা পানি মিশিয়ে দুধের ঘনত্ব কমিয়ে পান করতে হবে।

যে ১০টি কাজ করলে আপনাকে ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে না
৪. সুস্থ থাকার জন্য আমাদের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রহণযোগ্য খাদ্য উপাদান হলো খেজুর। অনেকেই মনে করে খেজুর শুধু রমজান মাসে খাওয়ার ফল। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। খেজুর সারা বছরই খাওয়া যায়। যারা রুগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী, তারা নিয়মিত খেজুর ও শসা একসাথে খেলে খুব তাড়াতাড়ি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন। খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি মিষ্টি ফল। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর গুনাগুন অনেক বেশি। তাই আমাদের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় কমপক্ষে তিনটি খেজুর রাখতে হবে।
৫. সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবারগুলো ডিম।ডিম শরীরে শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দেহের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ সমান রাখতে সাহায্য করে ডিম। যাদের রক্তচাপ কম তাদের উচিত নিয়মিত একটি করে ডিম খাওয়া। এছাড়াও ছোট বাচ্চারা নিয়মিত ডিম খেলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কোন ধরনের ভয়াবহ রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় না তারা। থাই খাদ্যতালিকায় ডিম অবশ্যই রাখতে হবে।
৬. সুস্থ থাকার খাদ্য উপাদানের মধ্যে আরও একটি খাদ্য হচ্ছে কলা। কাঁচা কলা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। কাঁচা কলায় প্রচুর আয়রন থাকে। যা মহিলাদের রক্তশূন্যতা জনিত সমস্যা সমাধান করে থাকে। এজন্য বাকা বা পাকা যে অবস্থায়ই হোক না কেন কলা খেতে হবে।

যে ১০টি কাজ করলে আপনাকে ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে না
৭. নিম পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে পেটের সব রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিম পাতার রস খেতে একটু খারাপ হলেও, তা নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। নিম পাতার রস আমাদের শরীরকে ক্ষতিকর রোগ-জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে।
৮. শরীরে শক্তি বৃদ্ধির জন্য যে খাবারটি অবশ্যই খেতে হবে তাহলো গাজর। গাজর রঙিন সবজি সমূহের মধ্যে অন্যতম।গাজর যেমন দেহের বল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে একই সাথে এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত গাজর খেলে সুস্থ জীবন পাওয়া যায়।
৯. এছাড়া অন্যান্য খাবার খাওয়ার সাথে কয়েকদানা মেথি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। মানবদেহের গ্যাস্ট্রিক জনিত সমস্যার সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করে মেথি। তাই মেথি খাওয়ার অভ্যাস করলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

যে ১০টি কাজ করলে আপনাকে ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে না
১০. মানবদেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি ফল হল ডালিম।রক্তশূন্যতা জনিত সমস্যার সমাধানে এটি সবচেয়ে ভালো ভূমিকা পালন করে। ডালিম একটি অতি সুস্বাদু ফল। এটি দেখতে যেমন লোভনীয় তেমনি মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ডালিম খেলে দেহে নতুন রক্ত তৈরি হয়, এবং রক্তশূন্যতার কোন সুযোগ থাকে না।
এ ধরনের খাবার নিয়মিত খাওয়ার মাধ্যমে একজন মানুষ সুস্থ্য-সবল জীবন যাপন করতে পারে।ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। নিজে নিজেই একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করে তা অনুসরণ করে সুস্থ জীবন পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।