বাংলাদেশি সেরা ১০টি খাবার, যাদের নাম শুনলেই জিভে জল আসে

by Md Limon
বাংলাদেশি সেরা ১০টি খাবার, যাদের নাম শুনলেই জিভে জল আসে

বাঙালি খাদ্য রসিক। বাংলাদেশি সেরা ১০টি খাবার, যাদের নাম শুনলেই জিভে জল আসে, আবহমানকাল থেকে মানুষ নানা রকম খাবার খেয়ে তার সাধ পরীক্ষা করে আসছে।ঐসকল খাবার বাঙালির কাছে প্রিয় যা আমাদের জিহ্বাকে তৃপ্তি দেয়।
বাংলার মাঠে ঘাটে ফলে নানা রকম সুস্বাদু ফল ও শাকসবজি। এসব উপাদান ব্যবহার করে তৈরি খাবার হয় অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও সুস্বাদু।
বাংলাদেশের বিখ্যাত কিছু মজার খাবার যা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা আজকে জেনে নেব।
চলুন জেনে নেয়া যাক ১০ টি মজার খাবারের নাম যা বাংলাদেশের অতি পরিচিত এবং স্বাদের জন্য বিখ্যাত।

১.প্রথমেই বলতে হয় বিরিয়ানির কথা। আমাদের সবার কাছে এটি একটি প্রিয় খাবার যা চাল ও মাংস দিয়ে তৈরি।
২. বাঙালির আরো একটি প্রিয় খাবার হলো দই। দই মূলত দুধ থেকে তৈরি হয়।ঘরোয়া ভাবে এটি তৈরি করা যায় এবং বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।
৩. মুখরোচক খাবারের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হলো ফুচকা। বাঙালির কাছে এটি বলা যায় সবচেয়ে প্রিয় মুখরোচক খাবার। অলিতে গলিতে স্কুল-কলেজের সামনে এবং মেলায় ফুচকা বি

বাংলাদেশি সেরা ১০টি খাবার, যাদের নাম শুনলেই জিভে জল আসে

বাংলাদেশি সেরা ১০টি খাবার, যাদের নাম শুনলেই জিভে জল আসে

ক্রি হয়।ফুচকা সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু ও জনপ্রিয় খাবার।
৪. ফুচকার পাশাপাশি আরও একটি জনপ্রিয় খাবার হলো চটপটি। এটি মূলত ডালডা থেকে তৈরি হয়। টক ঝাল স্বাদে চটপটি বহু পূর্ব থেকেই বাঙালির মন জয় করে আসছে।
৫.এ ছাড়া শীতকালে নানা রকম পিঠা যেমন দুধ পুলি কি ভুলে চিতই পিঠা নকশি পিঠা পাটিসাপটা নকশি পিঠা ইত্যাদি মুখরোচক খাদ্য হিসেবে খাওয়া হয়। শীতকাল সময়টা মূলত পিঠার জন্য বিখ্যাত।
৬. সিঙ্গারা একটি মুখরোচক খাবার হিসেবে পরিচিত। ময়দার তৈরি খোলসের মধ্যে আলু ভাজি কলিজার পুর দিয়ে তৈরি হয় সিঙ্গারা।এটিও বাংলার অলিতে-গলিতে এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে বিক্রি হয় এবং প্রচুর মানুষের কাছে এটি জনপ্রিয় খাবার।
৭. মুখরোচক খাবারের মধ্যে আরও একটি জনপ্রিয় খাবার হলো জিলিপি। মিষ্টি রসে ভরা জিলিপি আজীবন বাঙালির মন জয় করেছে। জিলিপি তৈরি হয় বিভিন্ন ছোট দোকানে। রসে ভরা জিলিপি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও সুমিষ্ট।

৮. একটি সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার হলো পাপড়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান মেলা এবং ইসলামিক জলসায় মূলত এটি বিক্রি হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি হয় এটি। এছাড়া পবিত্র মাহে রমজান মাসের স্পেশাল ভাবে তৈরি পাঁপড় বিক্রি করা হয়। এটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু ও মুচমুচে।
৯.বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় একটি মুখরোচক খাবার হলো কদমা। আমাদের বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই এই খাবারটি চেনে না। কিন্তু এটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও মিষ্টি একটি খাবার। এর রং সাদা। দেখতে অনেকটা ফুলের মত। একসময় বাংলায় কদমা খুব জনপ্রিয় ছিল। এটিও মুখরোচক খাবারের মধ্যে অন্যতম একটি খাবার।
১০. মিষ্টি খাবারের মধ্যে বাঙালির আরো একটি প্রিয় খাবার হলো পায়েস। নানারকম উৎসব-অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে জন্মদিন ঈদ উপলক্ষে পায়েস তৈরি করা হয়। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু। দুধ এবং পোলাওয়ের চাল দিয়ে তৈরি হয় পায়েস। শীতকালে গুড়ের পায়েস খুব জনপ্রিয় হয়। তুমি গরমকালে চিনি দেয়া পায়েস খেতে সবাই পছন্দ করে। এটি প্রায় ক্ষীরের মতো স্বাদযুক্ত।

আজীবন বাঙালি খেতে ভালোবাসে। সব খাবারের স্বাদ বাঙালি যেন সবচেয়ে ভালো বোঝে।স্বাদে আহ্লাদে বাঙালি যেন নিজেদেরকে নানা রকম সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবারের মধ্যে ডুবিয়ে রেখেছে। সেইসাথে খাবারগুলো ধরে রেখেছে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য।রেস্টুরেন্টে গিয়ে চিকেন ফ্রাই অথবা পিজা বার্গার খাওয়ার চেয়ে একজন বাঙালির ঘরে বসে গরম গরম জিলাপি খাওয়া অনেক স্বাদের।যেসব মানুষ এই অনুভূতিটা উপলব্ধি করতে পারে তারাই মুখরোচক খাদ্যের গুরুত্ব জানে। তারাই উপভোগ করতে জানে বাংলার খাবারের মাধুর্য।

গ্যাস্ট্রিক বেড়ে গেলে যা করবেন

You may also like

Leave a Comment