তরমুজের (watermelon)উপকারিতা ও অপকারিতা…
তরমুজের (watermelon)উপকারি তরমুজ(watermelon)একটি সুস্বাদু এবং পানি যুক্ত ফল। ভিটামিন মিনারেল এবং খনিজ পদার্থ সবই থাকে তরমুজ(watermelon)। এতে আছে পটাশিয়াম ও লাইকোপিন এর মত শক্তিশালী সব খনিজ উপাদান। পেশি মজবুত করে এবং পেশী ব্যথা দূর করা থেকে শুরু করে হৃদরোগের সমস্যা সমাধান এমনকি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে তরমুজে থাকা পুষ্টিগুণ। তরমুজ(watermelon) উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই।একাধিক পুষ্টিজাত উপাদান থাকার ফলে তরমুজের বীজ খুব ভাল এনার্জি বুস্টার। সেই সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতাও সুদৃঢ় করে এই বীজ।তরমুজ(watermelon)র বীজা থাকা হেলদি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি, আয়রন এবং অন্যান্য মিনারেলস মানবশরীরের ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ করে.
তরমুজ(watermelon) বাইরে থেকে দেখতে কিছুটা শক্ত এবং ভেতরে খুব নরম। এর মধ্যে পানির পরিমাণ খুব বেশি তরমুজ(watermelon) খনিজ লবণের একটি ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। তরমুজ(watermelon) খেলে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকার রয়েছে এবং পাশাপাশি তাপ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। ইটিং খনিজ লবণের একটি ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। তরমুজে বিটা ক্যারোটিন এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পাওয়া যায়।
তরমুজ(watermelon) শরীরে শীতলতা সরবরাহ করে। ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস এবং পটাশিয়াম এর মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান উপস্থিত রয়েছে তরমুজ(watermelon)।এসব খনিজ উপাদান আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করতে পারে। তরমুজ(watermelon) মাথা ব্যথা উপশম করতে পারে। এছাড়া পেশীর ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় তরমুজ(watermelon)।রক্তচাপ কমাতে তরমুজ(watermelon) খেতে পারেন কারণ তরমুজ(watermelon) আমাদের দেহের স্বাভাবিক রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।
তরমুজ(watermelon) রস ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে। তাই উজ্জীবিত থাকার জন্য তরমুজ(watermelon)র শরবত নিয়মিত খান। মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য তরমুজ(watermelon) অত্যন্ত উপকারী। তরমুজ(watermelon) বীজ আমাদের জন্য খুবই উপকারী। তরমুজ(watermelon)র ঔষধি গুন হাটকে স্বাস্থ্যকর রাখে। পৌরুষ বাড়ানোর জন্য তরমুজ(watermelon) খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।
কোন বড় অসুখ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর প্রতিদিন একবাটি করে তরমুজ খেতে পারলে খুব ভালো।
ভাইরাসজনিত সংক্রমণ বা চোখের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে তরমুজ।
তরমুজে আছে ভিটামিন সি, যা ত্বককে সজীব রাখার পাশাপাশি ত্বকের যে কোন সমস্যা প্রতিরোধ করে।
এছাড়া কিডনি সুস্থ রাখতে তরমুজ(watermelon) জুড়ি মেলা ভার। চোখ সুস্থ রাখতে তরমুজ(watermelon) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রীষ্ম মৌসুমে প্রায় মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে মাথা ব্যথা দূর করতে আপনি তরমুজ ব্যবহার করতে পারেন। তরমুজ(watermelon) খেলে শরীর ঠান্ডা হয় এবং তাপের কারণে মাথাব্যথা দূর হয়। তাই গ্রীষ্মকালে বেশি বেশি তরমুজ(watermelon) খান। তরমুজের বীজ থাকে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড।
এই উপাদান স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা এবং প্রবণতা দুটোই কমায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে তরমুজের বীজ। হার্ট ভাল রাখতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও তরমুজের বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়া ব্লাড প্রেশারের মাত্রা ঠিক রাখে। আর আয়রন শরীরে সঠিক পরিমাণ অক্সিজেন সাপ্লাইয়ে সাহায্য করে
পানির অভাবে কিডনিতে অনেক সময় সমস্যা দেখা যায়। তরমুজ(watermelon) প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক হিসেবে পরিচিত কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। এটি আমাদের শরীর থেকে টক্সিন গুলো বের করতে সাহায্য করে তাই তরমুজ(watermelon) খেলে আমাদের দেশে উৎপাদিত টক্সিন গুলো সহজেই নির্গত হয় এবং কিডনি সুস্থ রাখে। তরমুজ(watermelon) আমাদের চোখের অনেকগুলো রোগ যেমন রাতে কানা চোখের ছানি পড়া এবং অন্যান্য বয়স জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।বিটা ক্যারোটিনের একটি ভালো উৎস হয় তরমুজ(watermelon) চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তরমুজ(watermelon)র এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও কিছু উপকারিতা রয়েছে। আজকে আমরা জেনে নেবো তরমুজ খাওয়ার অপকারিতা। অল্প পরিমাণে তরমুজ(watermelon) খাওয়া খুবই উপকারী।
তরমুজের (watermelon) অপকারিতা
একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির এক দিনে ২০০ গ্রাম এর বেশি তরমুজ(watermelon) খাওয়া উচিত নয়। যেসব মানুষ ইতোমধ্যে কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত তাদের জন্য তরমুজ(watermelon) খাওয়া উচিত নয়। খুব বেশি পরিমাণে তরমুজ(watermelon) খাওয়া রক্তে সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে তাই ডায়াবেটিস রোগী এবং গর্ভাবস্থায় স্বল্প পরিমাণে তরমুজ(watermelon) খাওয়া উচিত নয়।। রক্তচাপের লোকেরা বেশি পরিমাণ তরমুজ(watermelon) খাওয়া উচিত নয় কারণ তরমুজ(watermelon)র প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা রক্তচাপ হ্রাস করতে পারে এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা তৈরি করতে পারে। র বেশি পরিমাণে লাইকোপিন রয়েছে তাই এটি অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে ডায়রিয়া বমি ভাব বদহজম এবং গ্যাসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।