রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীরা কিভাবে শরীরের যত্ন নিবেন??

রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীরা কিভাবে শরীরের যত্ন নিবেন??

by Md Limon
রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীরা কিভাবে শরীরের যত্ন নিবেন??

রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীরা কিভাবে শরীরের যত্ন নিবেন??

ডায়াবেটিস রোগীরাই একমাত্র জানে তাদের জন্য জীবন কতটা কঠিন। প্রতিটা পদক্ষেপে তাদেরকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। খাদ্য তালিকায় সব সময় পছন্দের খাবার অন্তর্ভুক্ত করা যায় না।
এমনকি খাদ্যের পরিমাণও হয় নির্ধারিত।
এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর তাদের খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। এই নিয়মের বেত্তায় ঘটলে ডায়াবেটিস রোগীকে বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
ডায়াবেটিস রোগীদের স্নায়ু দুর্বলতা এবং কিডনি নষ্ট হওয়ার কথা খুবই সাধারণ। মূলত তাদের অনিয়মের কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়।

রমজান মাস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই সংবেদনশীল একটি সময়।
কারণ রমজান মাসে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয়। এমনকি পানিও পান করা যায় না।

তাই ডায়াবেটিস রোগীকে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যেসব ওষুধ দিনে একবার খেতে হয় সেগুলো সেহেরী অথবা ইফতারের সময় গ্রহণ করতে হবে।
যেসব ওষুধ দিনে দুইবার গ্রহণ করতে হয় তার ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ইফতার ও সেহের মধ্যে কোন একটি সময়ে গ্রহণ করতে হবে।

যেহেতু ডায়াবেটিস রোগকে নির্দিষ্ট পরিমাণে শর্করা গ্রহণ করতে হয়‌ । কারণ তাদের দেহে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে বিরূপ অবস্থায় সৃষ্টি হয়।

এজন্য ইফতারে ভাত না খাওয়াই ভালো। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে ছোলা মুড়ি ,খেজুর ,শসা, বিভিন্ন রকম ফলমূল ,বাঙ্গি ,তরমুজ ইত্যাদি খাওয়া যাবে।সাথে কিছু বাদাম খেলে ত্বক ভালো থাকে। কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের ত্বক কুঁচকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীরা কিভাবে শরীরের যত্ন নিবেন??

রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীরা কিভাবে শরীরের যত্ন নিবেন??

ইফতারে স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। কারণ সারাদিন রোজা রাখার পর শরীরে পানির ঘাটতি হতে পারে। স্যালাইন এর মাধ্যমে দেহে প্রাণীর ক্ষমতা বজায় থাকে এবং দেহের শক্তি উৎপন্ন হয়।

যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া উচিত নয়, তাই খাবারে চিনির পরিবর্তে সুগার ফ্রি ক্যাপসুল ব্যবহার করা যেতে পারে।

অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় শরবত তাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই যেসব খাবার ঝাল সেসব খাবার খেতে হবে। যেমন ধরুন ছোলা মুড়ি। ছোলায় অনেক শক্তি আছে। বিশেষ করে ছোলাটা একটু কাঁচা অবস্থায় রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ আরো বেড়ে যায়।

ইফতারের পর রাতের খাবারের ভাত খাওয়া যাবে। ভাতের সাথে একটি ডিম খেয়ে নিলে তা বেশি কাজে লাগে। ডিম যে কোন অবস্থায় খাওয়া যেতে পারে। তবে ডিম সেদ্ধ অবস্থায় খেলে তার শরীরের জন্য বেশি উপকারী।

এছাড়া বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করেও খাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ। কারণ এতে একসাথে চাল ডাল ও বিভিন্ন রকম সবজি থাকে। দেহের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে এই খিচুরি।

রমজান মাসে ডায়বেটিস রোগীদের বেশি হাঁটার দরকার নেই। কারন তাদের দেহে এমনিতেই অনেক শক্তির ঘাটতি হয়। তাই রোজা রাখলে বিশ্রাম নিতে হবে প্রায় সারাদিন।

পর্যাপ্ত ঘুম,পরিমিত মাত্রায় খাওয়া দাওয়া,আর সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারণ ডায়বেটিস রোগীদের শরীর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই কোনোভাবেই অনিয়ম করা যাবে না। পুরো রমজান মাস সুস্থ থাকতে সকল নিয়ম মেনে চলতে হবে

এখানে কিছু সাধারণ স্বাস্থ্য টিপস আছে:

প্রচুর ফলমূল এবং শাকসবজি সহ একটি সুষম খাদ্য খান।নিয়মিত ব্যায়াম করুন (দিনে অন্তত ৩০ মিনিট)।প্রচুর পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকুন।পর্যাপ্ত ঘুম পান (প্রতি রাতে 7-9 ঘন্টা)।

ধূমপান এড়িয়ে চলুন এবং অ্যালকোহল সেবন সীমিত করুন।ঘন ঘন আপনার হাত ধুয়ে নিন।
শিথিলকরণ কৌশল বা ব্যায়ামের মাধ্যমে চাপ পরিচালনা করুন।নিয়মিত চেক আপ এবং স্ক্রিনিং পরীক্ষা পান।নিরাপদ যৌনতা অনুশীলন করুন।আপনি যদি অসুস্থ বোধ করেন তবে ডাক্তারের কাছে যান।

আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:

নিয়মিত ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিটের পরিমিত কার্যকলাপের লক্ষ্য রাখুন।
সুষম খাদ্য খান: প্রচুর ফল ও শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করুন।
প্রচুর পানি পান করুন: হাইড্রেটেড থাকা সুস্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।

 

রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীরা কিভাবে শরীরের যত্ন নিবেন??

রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীরা কিভাবে শরীরের যত্ন নিবেন??

পর্যাপ্ত ঘুম পান: বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে 7-9 ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়।
ধূমপান ত্যাগ করুন: ক্যান্সার এবং হৃদরোগ সহ অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ধূমপান একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ।
অ্যালকোহল সীমিত করুন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের ফলে লিভারের রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন: মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করার জন্য ধ্যান বা যোগের মতো শিথিলকরণ কৌশলগুলি অনুশীলন করুন।
মানসিকভাবে সক্রিয় থাকুন: আপনার মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করে এমন ক্রিয়াকলাপে নিয়োজিত থাকুন, যেমন পড়া, পাজল বা একটি নতুন দক্ষতা শেখা।

অন্যদের সাথে সংযোগ করুন: মানসিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য সামাজিক সংযোগ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি অসুস্থ বোধ করেন তবে চিকিত্সার পরামর্শ নিন: লক্ষণগুলি উপেক্ষা করবেন না। আপনি অসুস্থ বোধ করলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

রমজান মাসে কিভাবে আপনার শরীরের যত্ন নিবেন:

You may also like

1 comment

Leave a Comment