আপনার প্রিয়জনকে কখন মিলনের জন্য জোর করবেন না

প্রিয়জনের সাথে একান্ত কিছুটা সময় কাটাতে সবারই ভালো লাগে

by Md Limon
আপনার প্রিয়জনকে কখন মিলনের জন্য জোর করবেন না

আপনার প্রিয়জনকে কখন মিলনের জন্য জোর করবেন না??

প্রিয়জনের সাথে একান্ত কিছুটা সময় কাটাতে সবারই ভালো লাগে। তবে একান্ত সময় কাটানো এবং মিলনের সাথে আমাদের মানসিক শান্তি ভাবে জড়িত। আর সেই জন্যই মিলনের পূর্বে মন মেজাজ ভালো থাকার একটি বিষয় জড়িত।
মিলন করার জন্য কখনোই আপনি আপনার সংগীকে জোর করবেন না।

যখন মিলনে আপনাদের দুজনের সমান আগ্রহ থাকবে তখনই আপনাদের মিলন আনন্দদায়ক এবং সুমধুর হয়ে উঠবে।
কিন্তু যখন আপনাদের মধ্যে যেকোন একজনের ইচ্ছা থাকবে না তখন আপনাদের একান্ত মুহূর্ত আনন্দদায়ক হবে না বরং বিরক্তিকর লাগবে।

আপনার প্রিয়জনকে কখন মিলনের জন্য জোর করবেন না??

আপনার সঙ্গিনী যখন অসুস্থ থাকে তখন তাকে মিলনের জন্য জোর করবেন না। অসুস্থতা বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তবে মেয়েদের একটি বিশেষ সময় হল মাসিক বা ঋতুচক্র। এই সময়ে আপনি কোনোভাবেই আপনার সঙ্গিনীকে মিলনের কথা বলবেন না। এই সময়টি এমনিতেই তার জন্য অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। তখন সে নিজের শরীর নিয়ে অত্যন্ত হতাশায় থাকে এবং পুরোটা সময় কষ্ট পেতে থাকে।

তাই এ সময় যদি আপনি নিজের ইচ্ছা তার ওপর চাপিয়ে দেন তাহলে এটা তার জন্য জুলুম হবে।
তাই এই সময়ে আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে মিলনের জন্য জড়াজড়ি করবেন না বরং তার সাথে হাসিখুশি ভাবে কথা বলুন এবং তাকে সময় দিন।

যথাসম্ভব তাকে তার কাজে সাহায্য করুন এবং আপনি সম্ভব হলে সেদিন আপনার কর্মস্থল থেকে ছুটি নিন। আপনার স্ত্রীকে সময় দিন তার সাথে হাসিখুশি ভাবে কথা বলুন এবং তার মন ভালো রাখার চেষ্টা করুন।

আপনার প্রিয়জনকে কখন মিলনের জন্য জোর করবেন না??

আপনার প্রিয়জনকে কখন মিলনের জন্য জোর করবেন না

আপনার প্রিয়জনকে কখন মিলনের জন্য জোর করবেন না

এছাড়া আপনার সঙ্গে নিয়ে যখন মানসিক অশান্তিতে থাকে তখন তার সাথে মিলন করার চেষ্টা করবেন না। কারণ শারীরিক মিলনে শরীরের তৃপ্তি বেশি আসে।শারীরিক মিলনের মাধ্যমে যতটা মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায় তার চেয়ে অনেক বেশি শারীরিক তৃপ্তি পাওয়া যায়। তাই যখন আপনার সঙ্গিনী মানসিক দিক থেকে ঠিক নয়, তখন কিছুতেই তার মন ভালো না হওয়া পর্যন্ত তার সাথে শারীরিক মিলনের কথা বলবেন না।

আপনার প্রিয়জনকে কখন মিলনের জন্য জোর করবেন না??

এছাড়া আপনার স্ত্রী অন্যান্য অসুস্থতায় ভুগলে তার সাথে শারীরিক মিলন করতে চাইবেন না। যেমন ধরুন ঠান্ডা জ্বর মাথা ব্যথা পেট ব্যথা বা অন্যান্য অসুখ হলে আপনি তাকে সবার আগে সুস্থ করার চেষ্টা করুন এবং নিজের চাহিদাকে কম গুরুত্ব দিন।

আপনার প্রিয়জনকে কখন মিলনের জন্য জোর করবেন না??

আপনার সঙ্গে যদি বেশি ব্যস্ত থাকে তাহলে তার সাথে মিলন করার চেষ্টা করবেন না। বিয়ে এমন একটি বন্ধন যার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরের সাথে মানসিক সমঝোতায় আবদ্ধ হয়। তাই আপনি অবশ্যই আপনার সঙ্গিনীর সুবিধা অসুবিধা বিবেচনা করবেন।

 

আপনার প্রিয়জনকে কখন মিলনের জন্য জোর করবেন না

আপনার প্রিয়জনকে কখন মিলনের জন্য জোর করবেন না

অবশ্যই তার সুবিধা জনক সময় আপনি তার সাথে মিলন করবেন। যদি সে মিলনে বাধা দেয় তাহলে তাকে দ্বিতীয়বার জোর করবেন না। কারণ জোর করে মিলনের মাধ্যমে হয়তো আপনি শারীরিক আনন্দ পাবেন কিন্তু আপনার স্ত্রী শুধুই কষ্ট পাবে।

আপনার প্রিয়জনকে কখন মিলনের জন্য জোর করবেন না??

তাই সে মানসিকভাবে অবসাদ বসে থাকলে তার মন আগে ভালো করার চেষ্টা করুন। সুন্দর হলে তাকে নিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন। তাকে বিভিন্ন উপহার দিয়ে তার মন ভালো করার চেষ্টা করুন।
মনে রাখবেন একদিন জোর করে মিলন করলে আপনার স্ত্রী সারা জীবন আপনাকে ভুল বুঝবে।

তাই অবশ্যই সব দিক মাথায় রেখে দুইজনের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে তবে মিলনের কথা ভাববেন। একদিনের আনন্দের জন্য সারা জীবন নষ্ট করবেন না।

প্রিয়জনের সাথে সময় কাটার জন্য আপনাকে নিজের সময় প্ল্যান করতে হবে। আপনি সময় নির্ধারণ করে দেখতে পারেন কীভাবে আপনার দিনের সময় ব্যয় করতে পারেন এবং আপনার প্রিয়জনের সাথে সময় কাটার সুযোগ পেতে। আপনি সময় ব্যয় করার সময় চাইলে যেমন কথাবার্তা, উপলক্ষে কাছে থাকা, স্মৃতিসন্ধান করা ইত্যাদি করতে পারেন।

স্ত্রীর পরস্পরের সাথে মানসিক সমঝোতা আবদ্ধ হওয়া ব্যবস্থা সম্ভব হলে সুযোগের সুযোগ থাকে। আপনি স্ত্রীর সাথে কথা বলে সময় কাটাতে পারেন, স্বামী স্ত্রীর সাথে সাধারণ কাজ করতে পারেন, স্ত্রীর সাথে কথা বলে স্বামী স্ত্রীর প্রশ্ন করতে পারেন ইত্যাদি। স্ত্রীর সাথে মানসিক সমঝোতা আবদ্ধ হওয়ার সময় স্ত্রীকে স্বামী স্ত্রীর সাথে সাধারণ কাজ করার সুযোগ পেতে দেখতে হবে।

কিভাবে বুঝবেন আপনার সঙ্গিনী মিলনে আগ্রহী

You may also like

1 comment

Leave a Comment