ডিমের ১০ টি উপকারী দিক
ডিম আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় একটি খাদ্য উপাদান। প্রায় প্রতিদিন আমরা খাদ্যতালিকায় ডিম রাখি।সকালে অথবা রাতে সাধারণত আমরা ডিম খেয়ে থাকি। একে অনেকে একটি সাধারন খাদ্য উপাদান মনে করলেও এটি আসলে অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য। মূলত মানুষের দেহ গঠনকারী উপাদান হিসেবে ডিম প্রভাব বিস্তার করে।ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। ডিম আমাদের দেহে ভিটামিন জাতীয় এবং স্নেহ জাতীয় খাদ্য উপাদানের অভাব পূরণ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিমের ১০টি উপকারী দিক।
১. ডিমের সাদা অংশ ভিটামিন জাতীয় উপাদানে সমৃদ্ধ।এই অংশটি আমাদের দেহের ক্ষয়পূরণ বৃদ্ধি সাধন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
২. ডিমের সাদা অংশ লোমবিহীন স্থানে লোম গজাতে সাহায্য করে। তাই যাদের চুল পড়ার সমস্যা আছে, তাদের উচিত ডিমের সাদা অংশ মাথায় ব্যবহার করা। পৃথিবীর চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং ফাঁকা স্থানে চুল গজায়।
৩. ডিমের কুসুম স্নেহজাতীয় পদার্থের তৈরি। এটি মূলত তাপ উৎপাদন সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাবে একটি ডিমের কুসুম খেয়ে নিলে তৎক্ষণাৎ শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসে।
৪.রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ডিম। রক্তচাপ হঠাৎ কমে গেলে সাথে সাথে একটি ডিম খেয়ে নিলে রক্তচাপ স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে।
৫. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে ডিম। ডিম খেলে শরীরে এক ধরনের এন্টিবডি তৈরি হয়। এই এন্টি বডি ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে। ফলে ক্ষতিকর জীবাণু দেহের কোন অংশকে আক্রমণ করতে পারে না। এবং দেহ সুস্থ এবং সুরক্ষিত থাকে।
৬. ডিম দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। যাদের চোখে সমস্যা অথবা রাতকানা জনিত সমস্যায় ভোগে তাদের উচিত নিয়মিত ডিমের সাদা অংশ খাওয়া।ডিমের সাদা অংশে আইরিশ রঞ্জক আবরণী জাতীয় কিছু উপাদান থাকে যা চোখের দৃষ্টিশক্তি কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কারও কারও চোখ হলুদ রঙের হয়ে যায়। ডিম খেলে চোখের হলুদ হয়ে যাওয়া অংশ সাদা চকচকে হয়।
৭. আমাদের অনেকের ধারণা ডিম খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ডিম অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তবে এক্ষেত্রে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খেতে হবে। ডিমের সাদা অংশ দেহের অতিরিক্ত চর্বি কাটিয়ে দেহকে চাঙ্গা ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৮. ডিম খেলে শরীরের বিপাক ক্রিয়ার সমন্বয় সাধিত হয়। রাতে ভালো আরামদায়ক ঘুম হয়। দেহের বৃদ্ধি ও বিকাশ ত্বরান্বিত হয়।
৯. বর্তমানে বিজ্ঞানীরা প্রমান করেছেন যে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম উপায় হল ডিম খাওয়া। ডিম খেলে মস্তিষ্কের এমন এক ধরনের হরমোন তৈরি হয় যা মনকে প্রফুল্ল ও অবসাদ গ্রস্থতা থেকে মুক্ত রাখে।
১০. এছাড়া ডিম খেলে ত্বক উজ্জ্বল ও চকচকে হয়। ত্বকের কোষগুলো সজীবতা ফিরে পায়। ত্বকের পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকের ফর্সা ভাব তীব্র হয়।
এজন্য আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিম রাখতে হবে। বড়দের প্রতিদিন ডিম খাওয়া উচিত নয় বরং সপ্তাহে একটি বা দুটি ডিম খাওয়া যেতে পারে। ছোট দের জন্য প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া জরুরি।