মাথাব্যথার (Headache) কারণ ও মুক্তির উপায়
মাথাব্যথা (Headache) আমাদের মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা। কমবেশি সবারই মাথাব্যথা (Headache) হয়ে থাকে। এটি কোনো রোগ নয় কিন্ত এটি একটি অস্বস্তিকর অবস্থা। অনেক সময় মাথা ব্যথা মাইগ্রেনের ব্যথার রূপ নেয়।
মাইগ্রেনের ব্যথা একটি ভয়াবহ অবস্থা কেবলমাত্র চিকিৎসাবিজ্ঞানের সহায়তায় সমাধান করা যায়। তবে সাধারন মাথা ব্যথার ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করেই লাঘব করা যায়।
মাথাব্যথা (Headache) কেন হয় আপনারা জানেন কি?
মাথাব্যথা (Headache) হওয়ার একটি কারণ হলো দুশ্চিন্তা করা।
নানারকম কর্মব্যস্ততার কারণে আমাদের অনেক দুশ্চিন্তা হয়ে থাকে। দুশ্চিন্তার কারণে অবসাদগ্রস্থতা এবং ক্লান্তি আসে। এবং এ থেকে মাথাব্যথা (Headache) হতে পারে।
মাথাব্যথা (Headache) হওয়ার কারণ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো চোখে কম দেখা। যাদের চোখের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা রয়েছে কিন্তু চশমা ব্যবহার করেনা তাদের মাথা ব্যথার সমস্যা হতে পারে।
অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না আমরা ক্ষীণ দৃষ্টি অথবা দীর্ঘ দৃষ্টি রোগে আক্রান্ত। অজ্ঞতাবশত আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হই না এবং চশমা ব্যবহার করিনা।এর ফলে রোগের উপসর্গ হিসেবে মাথাব্যথা (Headache) দেখা যায়।
মাথাব্যথা হওয়ার আরও একটি কারণ হলো অত্যধিক শব্দযুক্ত স্থানে বসবাস করা। যেসব স্থানে অতিরিক্ত পরিমাণে শব্দদূষণ হয় অর্থাৎ কলকারখানার বা কোন ফ্যাক্টরি রয়েছে সেখানে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বসবাস করলে মাথাব্যথা (Headache) স্থায়ী রূপ ধারণ করে।
শব্দ দূষণের কারণে আমাদের মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন ক্ষরণ করতে পারে না।ফলে আমাদের দৈনন্দিন স্বাভাবিক কর্ম বিঘ্ন ঘটে এবং মাথাব্যথা (Headache) হয়।
অতিরিক্ত কথা বললে মাথাব্যথা (Headache) হতে পারে।যারা শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত তাদের প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অনেক কথা বলতে হয়। দৈনন্দিন পাঠ তাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হয়। বলাবাহুল্য প্রায় সারাদিন শিক্ষকেরা কোনো না কোনো ব্যাপারে আলোচনা করে। অতিরিক্ত কথা বলার কারণে তাদের মাথাব্যথা (Headache) হতে পারে।
তবে মাথাব্যথা (Headache) কোনো রোগ নয়।বরং একটু বুদ্ধি করে চললে আমরা মাথাব্যথা (Headache) থেকে রেহাই পেতে পারি।
চলুন জেনে নেই কিভাবে আমরা মাথাব্যথা (Headache) থেকে মুক্তি পাবো।
প্রথমত বসবাসের জন্য শান্ত নিরব এবং কোলাহল মুক্ত পরিবেশ নির্বাচন করতে হবে। যেখানে কল কারখানা বা কোন ফ্যাক্টরি রয়েছে সেখানে বসতি স্থাপন করা যাবে না।
নিরিবিলি পরিবেশে বসবাস করলে মাথাব্যথা (Headache) বা কোনো সমস্যা হবে না।
দুশ্চিন্তা করা যাবে না। দুশ্চিন্তার কারণে আমরা অনেক ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হতে পারি। এমনকি উচ্চরক্তচাপের মতো ভয়াবহ সমস্যা দুশ্চিন্তার কারণে হয়ে থাকে। এজন্য সব সময় হাসি খুশি এবং স্বাচ্ছন্দপূর্ণ জীবন যাপন করতে হবে। কোন কাজ চাপ নিয়ে করা যাবে না।অনেক সময় দেখা যায় অত্যধিক পরিমাণে চাপ নিয়ে কাজ করার ফলে অবসাদগ্রস্থতা এবং ক্লান্তি আসে এবং সেইসাথে প্রচন্ড মাথা ব্যথা হয়। অর্থাৎ সব কাজ সাধারণভাবে এবং মুক্ত মনে করতে হবে। নিজের কাজকে ভালবাসতে হবে এবং কোন কাজকেই চাপ মনে করা যাবে না।যদি আপনি আপনার কাজে আনন্দ পান তাহলে আপনার কাজ করে ক্লান্তি বা অবসাদ আসবেনা।
অতিরিক্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। নিজেকে সময় দিন। সম্ভব হলে খোলা হাওয়ায় কিছুক্ষণ ঘুরে আসুন।
আপনার যে কাজটি করতে ভালোলাগে অর্থাৎ যে কাজটি আপনার শখ সেটি অবসর সময়ে করবেন।
অযথা কারো সাথে খোশগল্প বা আলাপ করবেন না। নিজের মুখ কে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিন এবং সেই সাথে নিজের মস্তিষ্ককে কিছুক্ষণ চিন্তা মুক্ত রাখুন।
মাথাব্যথা (Headache) হলে মাথায় কিছুক্ষন মালিশ করুন। স্থির জায়গায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকুন। যখন অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হবে তখন নড়াচড়া করবেন না।
এবং মাথা ব্যাথা ভয়াবহ পর্যায়ে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। মনে রাখবেন মাথাব্যথাকে (Headache) ছোট রোগ বলে অবহেলা করা যাবে না।
মাথাব্যথা (Headache) অনেক সময় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। তাই যথাসম্ভব মাথাব্যথা (Headache) না হয় এরকম কাজ করুন। নিজেকে ভালো রাখুন।
গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ গুলো কি কি