গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষন ও কেন হয় ।

by Md Limon
আজকে আমরা জেনে নেবো গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ গুলো!

গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষন

গ্যাস্ট্রিক সমস্যার গুরুতর পর্যায়ে গেলে আলসার সৃষ্টি হয়। তবে এর বিশেষ কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি গ্যাস্ট্রিক আলসারের আক্রান্ত। বিভিন্ন কারণে গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন যদি কেউ গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগে তাহলে একসময় আলসার এ পরিণত হয়।

গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষন ও কেন হয় ।

গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষন ও কেন হয় ।

আজকে আমরা জেনে নেবো গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ গুলো!

আজকে আমরা জেনে নেবো গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ গুলো!

গ্যাস্ট্রিক হলে যেসকল লক্ষণ প্রকাশ পায় আলসার হলেও সে সব লক্ষণই মূলত প্রকাশ পায়। আলসার হলে পেটের কোন একটি জায়গায় একঘেয়ে ব্যথা অনুভূত হয়। আলসার হলে একসময় বুকে ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। আনসার কোন গান নয় বরং এটি একটি কালো দাগ। অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক হওয়ার কারণে আমাদের পাকস্থলী তে অথবা হৃদপিন্ডে কালো দাগ সৃষ্টি হয়।গ্যাস্ট্রিকের কারণে অতিরিক্ত ব্যথা হতে হতে তার আলসারের সৃষ্টি করে।

গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে ব্যথা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় স্থির থাকবে। অনেক সময় আমরা খেয়াল করি ব্যথা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নড়াচড়া করে। তবে আপনার যদি গ্যাস্ট্রিক আলসার হয় তাহলে ব্যথা একটি নির্দিষ্ট স্থানে অনুভূত হবে। গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে বমি বমি ভাব হতে পারে।অনেক সময় কম খাওয়ার পরেও আপনার পেট ভরা অনুভূত হবে। কিছু খাবার খাওয়ার পরই তা হজম করতে না পারায় বমি হয়ে যেতে পারে। গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে ক্ষুধামন্দার হয় অর্থাৎ যথাসময়ে ক্ষুধা লাগে না।

কোন খাবারের স্বাদ পাওয়া যায় না। এবং সব খাবারই আপনার কাছে অতিরিক্ত ভারী বলে মনে হবে। গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে রাতে ভালোভাবে ঘুম হয় না।রাতে আপনার বারবার ঘুম ভেঙে যাবে এবং ব্যথার কারণে ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে আপনার মধ্যে ক্লান্তি ভাব সৃষ্টি হবে। কোন কাজে মনোনিবেশ করা সম্ভব হবে না।

গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষন ও কেন হয় ।

গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষন ও কেন হয় ।

এছাড়া গলায় জ্বালা বুকে জ্বালা করতে পারে। মুখের মধ্যে টক ভাব অনুভূত হতে পারে। গ্যাস্ট্রিক জাতীয় খাবার খেলে অর্থাৎ পরোটা সিংগারা পুরি ফুচকা-চটপটি বা বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আমাদের পাকস্থলী প্রাচীর অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড শোষণ করতে পারে না ফলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের আধিক্য সৃষ্টি হয়। এর ফলে সৃষ্টি হয় গ্যাস্ট্রিক যা গুরুতর পর্যায়ে আলসার হিসেবে রূপ নেয়। এছাড়া আলসার হলে প্রচন্ড ব্যাথায় পাশাপাশি আপনার চলাচল করলেও সমস্যা হবে। অতিরিক্ত পথ হাঁটা সম্ভব হবে না। অর্থাৎ পেটের মধ্যে ভারী কিছু অনুভূত হবে।

আলসারের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই এক্সরে করার মাধ্যমে তা নিশ্চিত হতে হবে। আজহার ধরা পড়লে অবশ্যই গ্যাস্ট্রিক জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। এছাড়া বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকা যাবে না। সকালের খাবার আমরা অনেকেই দেরিতে খাই কিন্তু এটা খুবই ক্ষতিকর। সকালের খাবার তিনটা খাওয়ার কারণে পাকস্থলী হজম করার জন্য পর্যাপ্ত উপাদান পায় না ফলে হাইড্রোক্লোরিক এসিড অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষরণ করে। এ থেকে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে। আলসার হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।

গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষন ও কেন হয় ।

গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষন ও কেন হয় ।

তাই আলসার এর লক্ষণগুলো জানবেন। আলসার হলে অনেকেই চোখে কম দেখে।তবে এটা খুব কম মানুষের মধ্যেই পরিলক্ষিত হয় তাই এটাকে অনেক চিকিৎসক লক্ষণ বলে মানতে নারাজ।
তবে আপনারা খেয়াল রাখবেন যদি কেউ অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এর ভোগে এবং চোখে কম দেখে তাহলে অবশ্যই তার এক্সরে করান এবং অ্যানসার হয়েছে কিনা নিশ্চিত হোন।
যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে আলসার সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

তাই আলসারের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন যাপন করুন। দেশটির জাতীয় খাবার পরিহার করুন এবং খাদ্যতালিকায় একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলুন। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এবং অতিরিক্ত কম খাবার খাবার পরিহার করুন ,পরিমিত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।

  • ব্যথা হলে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান, কিছুক্ষন পরেই ব্যথা কমে যাবে । এটি অ্যসিডিটি বা ফুড পয়জনিং সমস্যা ও দূর করতে সাহায্য করবে ।
  • পুদিনা পাতা, তুলসি পাতা ইত্যাদি হজম ক্ষমতা বাড়ায় ও গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সাহায্য করে । গ্যাস্ট্রিক থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন সকালে পুদিনা পাতা রস করে খেতে পারেন।
  • মধু গ্যস্ট্রিক সারাতে সাহায্য করে, হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন।
  • গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে কফি, ওটমিল কিংবা গরম দুধে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন ।
  • ব্যথা থেকে তাৎক্ষনিক মুক্তি পেতে ১ গ্লাস পানিতে ১/৪ ভাগ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করুন, ভালো ফল পাবেন ।

গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ গুলো কি কি

ভিডিও দেখুন

 

You may also like

Leave a Comment