তরমুজ একটি সুস্বাদু ও তৃষ্ণা নিবারক ফল। তরমুজের চাহিদা বাজারে বেশ ভালো রকমই থাকে।
থাই কৃষকেরা তরমুজ চাষ থেকে উপার্জন করতে পারেন ভালো রকম।
তবে অজ্ঞতাবশত অনেক কৃষক তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। অনেক অর্থ ব্যয় করে তরমুজ শুরু করলেও শুধুমাত্র অজ্ঞতাবশত সঠিক চাষাবাদ পদ্ধতি প্রয়োগ না করার কারণে তরমুজ নষ্ট হয়। তাই আজকে আমরা জানবো তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় আগে থেকেই খেয়াল রাখতে হবে।
শুষ্ক উষ্ণ ও প্রচুর সূর্যের আলো পায় এমন স্থানে তরমুজ ভালো জন্মায়। তবে অধিক আর্দ্রতা তরমুজ চাষের জন্য ক্ষতিকর। খরা ও উষ্ণ তাপমাত্রা সহনশীলতা তরমুজের অনেক বেশি। উর্বর বেলে দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী।
প্রয়োজন অনুযায়ী চাষ ও মই দিয়ে তরমুজ চাষের জন্য জমি তৈরি করতে হবে।
জমি তৈরি করার পর মাদা তৈরি করে নিতে হবে। মাদা তে সার প্রয়োগ করে চারা লাগাতে হবে।
সাধারণত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময়ে তরমুজ চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
এছাড়াও আগাম কিছু জাত আছে যেগুলো নভেম্বর ডিসেম্বর পর্যন্ত বপন করা যাবে।
তবে বীজ কেনার জন্য জানুয়ারি মাসের থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম পক্ষ সবচেয়ে ভালো সময়।
আগাম ফসল পাওয়ার ক্ষেত্রে জানুয়ারির শুরুতে বীজ বপন করলে শীতের হাত থেকে কচি চারা রক্ষার ব্যবস্থা করে নিতে হবে।
- প্রতি মাদায়ে চার থেকে পাঁচটি বীজ বপন করতে হবে।
- তবে বীজ বপনের 8 থেকে 10 দিন আগে মাদা তৈরি করে মাটিতে সার মেশাতে হবে।
- 2 মিটার দূরে দূরে শাড়ি করে প্রতি সারিতে 2 মিটার পর পর মাদা করতে হবে।
- চারা গজানোর পর প্রতি মাদায় দুইটি করে তারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে।
- চারা গজানোর পর জাত ভেদে প্রতি শতকে 2 গ্রাম বীজের ব্যবহার করতে হবে।
- বীজ বপনের চেয়ে তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে চারা রোপণ করাই উত্তম। এতে বীজের অপচয় কম হবে।চারা তৈরীর ক্ষেত্রে ছোট ছোট পলিথিনের ব্যাগে বালি ও পচা গোবর সার ভর্তি করে প্রতিটি পলি ব্যাগেগে একটি করে বীজ বপন করতে হবে।
সার হিসেবে প্রতি বিঘায় গোবর আবর্জনা পচা সার 30 কুইন্টাল নিম পাতা দুই কুইন্টাল সুজলা বিষ প্রয়োগ করতে হবে। পরবর্তীতে বিঘা প্রতি 15 কেজি ইউরিয়া 5 কেজি এবং আগে বলা গোবর সার বা নিমপাতা দিতে হবে।
সঠিক পরিমাণে সার প্রয়োগ করে প্রতিনিয়ত পরিচর্যা করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন পোকামাকড়ের আক্রমণ না করে। কোনরকম পোকামাকড়ের আক্রমণ লক্ষ করলে অবশ্যই কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
অতিবৃষ্টি করার হাত থেকে বাঁচার জন্য একটি সুরক্ষিত স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে খরার প্রকোপ কম।
এভাবে একজন চাষী সফলভাবে তরমুজ চাষ করতে পারেন