২০২৩ সালে কেমন যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

২০২৩ সালে কেমন যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

by Md Limon
২০২৩-সালে-কেমন-যাবে-বাংলাদেশের-অর্থনীতি.jpg
২০২৩-সালে-কেমন-যাবে-বাংলাদেশের-অর্থনীতি.jpg

২০২৩-সালে-কেমন-যাবে-বাংলাদেশের-অর্থনীতি.jpg

২০২৩ সালে কেমন যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

বর্তমানের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটের মুখে তাই অনেকেই জানতে চায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা কেমন হবে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।
এ কারণে বিশ্বের প্রায় সব অর্থনৈতিক সংস্থা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানা যায়।
করোনাভাইরাসের যুদ্ধ শেষ হতে না হতেই গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।

এ যুদ্ধে জানমালসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের প্রচুর ক্ষতি হয়।
তাই আশা করা হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা খাত অত্যন্ত ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
মূল্যস্ফীতির কারণে কোন কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাভ হলেও সাধারণ জনগণের কাছে গৃহস্থালির পণ্যদ্রব্য কেনাও অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়িক মুনাফা কমে যাবে। কারণ উৎপাদনের তুলনায় জনগণ বেড়ে যাচ্ছে।
দেশের অন্যান্য খাতের মতো অটোমোবাইল খাট ভালো যাবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর মধ্যে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম হয়ে থাকবে বৈদ্যুতিক গাড়ি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় মানুষ যখন জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তখন বৈদ্যুতিক গাড়ি কোনরকম জীবাশ্ম জ্বালানি ছাড়াই চার্জের মাধ্যমে চলাচল করতে সক্ষম।
তবে বাংলাদেশের তুলনায় অটোমোবাইল খাতে চীন অনেক এগিয়ে আছে।

অর্থাৎ তারা বিভিন্ন মডেলের গাড়ি এবং বিভিন্ন ভোল্টেজ এর ব্যাটারি সংরক্ষণ করেছে। এর ফলে যে কেউ স্টেশনে গিয়ে নিজের গাড়ির ব্যাটারি পরিবর্তন করে নতুন ব্যাটারি লাগিয়ে ব্যবহার করতে পারে।
রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের পর টিলের দাম অনেকটা কমে গেলেও বর্তমানে তা মোটামুটি স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে পরবর্তী বছর তেলের চাহিদা আরো বাড়বে অর্থাৎ দাম বেড়ে যাবে। কারণ বাংলাদেশে জনসংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই হারে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

খুচরা বিক্রেতারা শ্রমিকের খরচ কমানোর চেষ্টা করছেন। অর্থাৎ সব ধরনের ব্যবসায়ী নিজ নিজ অবস্থান হতে লাভ বেশি করার চেষ্টায় আছেন। যার ফলে দেশে অর্থনৈতিক দুরবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে প্রযুক্তি খাতের অবদান বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ অন্যান্য খাতের তুলনায় প্রযুক্তি খাত অনেকটা এগিয়ে।
তবে সাইবার হামলা দেশের প্রযুক্তি খাতের জন্য বড় ধরনের হুমকি হতে পারে।
সব মিলিয়ে খাদ্য চিকিৎসা শিক্ষা বাসস্থান সহ সকল খাত হুমকির মুখে পড়ছে।

তবে বিশ্ব বিশ্বজুড়ে পর্যটন খাত গত বছর থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
সব মিলিয়ে ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে উৎপাদন দাঁড়িয়ে ও জনসংখ্যা কমানোর চেষ্টা করে এ অস্থিরতা কিছুটা কমানো যেতে পারে।
সঠিক কৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের খাদ্য ও বস্ত্র উৎপাদনে পরিবর্তন আনতে হবে। এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তবে ২০২৩ সালে আমাদের দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করা যায়

সৌরজগতের জানা অজানা গ্রহ ও নক্ষত্রের পরিচয়

You may also like

Leave a Comment