চীন দেশের সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য
এশিয়া মহাদেশের একটি দেশ হল চীন। বিশ্বের দরবারে চীন খুবই পরিচিত একটি দেশ। আসুন জেনে নেই চীন দেশের সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।
চীন হলো পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র যার সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী চীন বা গণচীন। বিশ্বের বুকে এটি সর্ব বৃহৎ জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্র। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি দেশ শাসন করে। চীনের রাজধানী শহর হল বেইজিং। চীন তাইওয়ান এর উপরে সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে।
পাঁচটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং চারটি কেন্দ্রীয় পৌরসভা মিলে দেশটির শাসনব্যবস্থা গঠিত।
চীন বিশ্বের একটি প্রধান শক্তি এবং এশিয়া মহাদেশের মধ্যে এটি একটি আঞ্চলিক শক্তি।
এই দেশে দুটি প্রায় স্বায়ত্তশাসিত বিশেষ অঞ্চল রয়েছে।
চীনের বৃহত্তম নগরী হলো সাংগ্রাই। বেইজিং এ দেশটির রাজধানী অবস্থিত। এ দেশের সরকারি ভাষা সরল চিনা।
জাতিগোষ্ঠীর কথা বলতে গেলে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক হান চীনা। এছাড়া সুয়া অং , হানজু, উই গুরু, মিয়াও হুই ইত্যাদি বহু জনগোষ্ঠীর লোক এ দেশে বাস করে।
সরলীকৃত চীনা লিপি হল এদেশের দাপ্তরিক লিপি।
এ দেশের বেশিরভাগ মানুষ ধর্মহীন অর্থাৎ লোকধর্ম পালন করে। ৭৪.৫% লোক এদেশে কোনো ধর্মই পালন করে না।এছাড়া কিছু পরিমাণ লোক হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ইসলাম ধর্ম পালন করে থাকে।
লি খচিয়ান হলেন এই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এদেশের কংগ্রেস চেয়ারম্যান হলেন লি ঘাংসু।
এদেশের সরকার ব্যবস্থা হল একদলীয় সমাজতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা। অর্থাৎ কোন একটি দল এ দেশকে শাসন করে থাকে। এদেশের প্রথম উপ প্রধানমন্ত্রী হ্যাং ঝেন। এছাড়া এদেশের তত্ত্বাবধান পরিচালক ইয়াং শাউদু। ঝো শিয়াং হলেন এ দেশের প্রধান বিচারপতি।
এ দেশের আয়তন ৯৫৯৬৯৬১ বর্গ কিলোমিটার। এই আয়তনের 2.8 পার্সেন্ট পানি।
১.৪১ বিলিয়ন লোক বাস করে চিনে। এ দেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৪৫/বর্গ কিলোমিটার।
স্থল আয়তনের দিক হিসেবে এটি পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। সামগ্রিক আয়তনের বিচারে ও পরিমাপের পদ্ধতি ভেদে এটি একটি অত্যন্ত বৃহত্তম এলাকা।
দেশটির অনুর্বর উত্তর অংশে রয়েছে স্টেপ তৃণভূমি। আর্দ্র দক্ষিণ অঞ্চলে রয়েছে উপত্যকার অরণ্যভূমি সমূহ।
হিমালয় ও কারাকোরাম পর্বতমালা অবস্থিত এ ই চীনে।
পানির মালভূমি ও পর্বতমালা চীনকে ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়া থেকে বিভক্ত করেছে।
চীন দেশটি উত্তরে অবস্থিত মঙ্গোলিয়া। উত্তর পূর্বে অবস্থিত রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া। এছাড়া বেহাই উপসাগর, পীত সাগর ও পূর্ব চীন সাগর এই দেশে অবস্থিত।
অঞ্চলভেদে হান জাতির মানুষের মধ্যে ভাষাগত পার্থক্য দেখা যায়।
তবে চিত্রলিপি ভিত্তিক লিখন পদ্ধতি ব্যবহার করে বলে সমস্ত চীনাদের লেখা একই রকম। এর ফলে গোটা চীন জুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। চীন প্রজাতন্ত্র সরকার ও গণপ্রজাতন্ত্রী চীন উভয়ই নিজেদেরকে আইনসম্মত সরকার হিসেবে দাবি করে আসছে।
তবে সারাদেশে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের স্বীকৃতি বেশি।
এছাড়াও চীন অনেক আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক প্রজাতন্ত্রের সদস্য। বিশ্বের দরবারে চীন একটি গৌরবময় দেশ হিসেবে স্বীকৃত। কারণে দেশের শাসন ব্যবস্থা অত্যন্ত কঠোর।এবং সেইসাথে মানুষের মানুষের ভালোবাসা এবং সহমর্মিতা সম্পর্ক অনেক বেশি।
ভ্লাদিমির পুতিন সম্পর্কে ১০ অজানা তথ্য..