বিজ্ঞান হল বিশেষ জ্ঞান। আমাদের জীবনকে সহজ থেকে সহজতর করে দিতে বিজ্ঞান নিরলস পরিশ্রম করে গেছে। বিজ্ঞানের তাক লাগিয়ে দেওয়া ১০ টি আবিষ্কার যার ফলে আমরা আজ শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারছি। চলুন জেনে নেই বিজ্ঞানের সেই বিজ্ঞানের তাক লাগিয়ে দেওয়া ১০ টি আবিষ্কার।
১. প্রথমেই বলতে হয় বিদ্যুতের কথা। বিদ্যুৎ ছাড়া আজ আমাদের জীবন অন্ধকার। যখন বিদ্যুৎ ছিল না, তখন মানুষ বাতির আলো এবং হাত পাখা ব্যবহার করতো। বর্তমান জীবনে আমরা হাতপাখার কথা চিন্তাও করতে পারি না। বিদ্যুৎ আবিষ্কারের ফলে, বৈদ্যুতিক পাখা, লাইট, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, কৃষিক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক মোটর ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন কারখানায় বৈদ্যুতিক যন্ত্র ইত্যাদি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে। বিদ্যুৎ জন্য অন্যান্য সব যন্ত্রের জননী রূপে কাজ করে।
২. মোবাইল ফোন, বর্তমানে আমরা একজনের সাথে আরেকজন যোগাযোগ করি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। কিন্তু একসময় এই মোবাইল ফোন ছিল না। ফোনে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি। একটি চিঠি একজনের কাছ থেকে অন্যজনের কাছে পৌঁছাতে সাত দিন বা তার বেশি সময় লেগে যেত। এবং তাকে অনেক খরচ হতো।বর্তমানে মোবাইল ফোন আবিষ্কার এর মাধ্যমে এক মুহূর্তের মাধ্যমে এক জায়গার খবর অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে অন্য প্রান্তের মানুষের সাথে এক সেকেন্ডের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে।
৩. বিজ্ঞানীরা আর ও একটি অবাক করে দেয়া আবিষ্কার হল রেফ্রিজারেটর। যখন রেফ্রিজারেটর ছিল না তখন মানুষ খাবার বেশি দিন সংরক্ষণ করতে পারত না। দিনের খাবার দিনেই নষ্ট হয়ে যেত।
ফ্রিজে বর্তমানে খাবার রেখে তা মাসের-পর-মাস সংরক্ষণ করা যায়। মাছ মাংস শাক সবজি তরকারি কে ইত্যাদি সব খাদ্যদ্রব্য টাটকা খবর তাজা থাকে ফ্রিজে রাখার ফলে।
৪. বর্তমানে মানুষের পরিশ্রমকে অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছে রোবট বা যন্ত্রমানব। অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ যা মানুষ করলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে তার রোবট করে দিচ্ছে। রোবটের কাজ করার ক্ষমতা অত্যন্ত সুনিপুণ এবং খুবই কম সময়ের মধ্যে যেকোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে দিতে পারে। তাই যন্ত্রমানব বিজ্ঞানের আরেকটি অবাক করে দেয়ার আবিষ্কার।
৫. আমরা ঘুম থেকে উঠার থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত যত দ্রব্যাদি ব্যবহার করি তার সবই বিজ্ঞানের আবিষ্কার। বিজ্ঞানের আবিষ্কার হল গাড়ি। বর্ধমানের মোটর সাইকেল, বাস, অটোরিকশা, সিএনজি ইত্যাদি মানুষ যাতায়াতের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে। একটা সময় ছিল যখন মানুষ বহু দূরের পথ পাড়ি দিতো পায়ে হেঁটে। এটি ছিল অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টদায়ক। অর্থাৎ যান্ত্রিক যানবাহনের আবিষ্কার মানুষের এই কষ্টকে অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে এবং সময় সাশ্রয় করছে।
৬. বিজ্ঞানের তাক লাগিয়ে দেওয়া একটি আবিষ্কার হলো ব্লেন্ডার। কোন খাবার পেস্ট করা বা গুঁড়ো করার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়।হওয়ার আগে মানুষ পাটায় পিষে খাবার পেস্ট করত। কিন্তু বর্তমানে ব্লেন্ডার রিস্কার হওয়ার পর বিনা পরিশ্রমে মানুষ যে কোন খাবার গুড়া করতে পারছে।
৭. বর্তমানে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হলো টেলিভিশন। এটাও বিজ্ঞান এর একটি চমকপ্রদ আবিষ্কার। টেলিভিশনের বাংলা চলচ্চিত্র কার্টুন সিনেমা দেখতে পাই। এছাড়া দেশ-বিদেশের সংবাদপত্র টেলিভিশন এর মাধ্যমে দেখি।টেলিভিশন জন্য বিশ্বকে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। ছোট বাচ্চাদের কার্টুন দেখে টিভিতে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের হওয়ার ঘটনা আমরা মুহূর্তের মাধ্যমে জেনে যাই টেলিভিশনের মাধ্যমে।
৮. মাইক্রো ওভেন,যার খাবার গরম করার কাজে ব্যবহার করা হয় এটিও একটি বিজ্ঞানের চমকপ্রদ আবিষ্কার।মাইক্রোওভেন এমন একটি যন্ত্র যেখানে আগুন ছাড়াই খাবার কাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রায় নেওয়া যায়। শুধুমাত্র সুইচের মাধ্যমে তাপমাত্রা বাড়িয়ে-কমিয়ে খাবারকে সুস্বাদু করা যায়। একসময় তা করা হতো মাটির চুলার মুখ দিয়ে যা অত্যন্ত ঝামেলাকর এবং সময় সাপেক্ষ।
৯. বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মধ্যে অন্যতম একটি হলো EVM বা electronic voting machine. একটি ভোট দেয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ভোট শেষে ভোট গণনা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
নির্ভুলভাবে ভোট গণনার কাজটি করে থাকে।
১০. বর্তমানে আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আবিষ্কার হয়েছে।বিজ্ঞানীরা সঠিক ও নির্ভুল ভাবে তারা মহাকাশে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের যেকোন তথ্য পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। এটি সবচেয়ে বেশি চমকপ্রদ একটি আবিষ্কার।
অর্থাৎ বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে করে দিয়েছে অত্যন্ত সহজ ও আরামদায়ক। বিশ্বকে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে বিজ্ঞান।
আমাদের জীবনকে করেছে উন্নত। এবং আমাদের পরিশ্রম লাঘব করেছে। বিজ্ঞানের সকল আবিষ্কারের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।
1 comment
[…] মহাজাগতিক […]