সৌরজগতের জানা অজানা গ্রহ ও নক্ষত্রের পরিচয়

by Md Limon
সৌরজগতের জানা অজানা গ্রহ ও নক্ষত্রের পরিচয়
সৌরজগতের জানা অজানা গ্রহ ও নক্ষত্রের পরিচয়

সৌরজগতের জানা অজানা গ্রহ ও নক্ষত্রের পরিচয়

সৌরজগতের জানা অজানা গ্রহ ও নক্ষত্রের পরিচয়)

আমাদের বাসভূমি পৃথিবী। অন্য সাতটি গ্রহ এবং আরো কিছু জ্যোতিষ্ক সূর্যকে কেন্দ্র করে সব সময় ঘুরছে।সূর্য এবং একে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান সকল জ্যোতিষ্ক ফাঁকা জায়গা নিয়ে আমাদের সৌরজগৎ গঠিত। সৌরজগতের বেশিরভাগ জায়গায় ফাঁকা। আমাদের এই পৃথিবী দুইভাবে ঘুরছে।পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উপর পাক খাচ্ছে আবার সূর্যকে কেন্দ্র করে এক বছরে একবার ঘুরে আসছে।পৃথিবীর ঘোরার ফলে দিন রাত হয় ঋতু পরিবর্তন হয়। মানুষ প্রাচীনকাল থেকেই সূর্য চন্দ্র তারা নিয়ে আগ্রহী ছিল। তবে সে সময় মহাকাশের এসব জ্যোতিষ্ক পর্যবেক্ষণ এর যন্ত্রপাতি ছিল না। তাই খালি চোখে যেমনটি বোঝা যেত তেমনটাই তারা বিশ্বাস করতেন। অ্যারিস্টোটল দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে বড় বিজ্ঞানী এবং দার্শনিক ছিলেন।

তিনি মনে করতেন পৃথিবীর চারপাশে সূর্য ঘোরে।ভাবে বলেন যে পৃথিবীর কেন্দ্র করেই সবকিছু ঘুরছে। তার এই মতবাদ দীর্ঘদিন মানুষ বিশ্বাস করেছেন। কিছু কিছু জ্যোতির্বিদ টলেমির মতবাদে বিশ্বাস করতেন না। এই মতবাদকে কেউ ভুল প্রমাণিত করতে পারেনি।এরপর কোপার্নিকাস নামে একজন জ্যোতির্বিদ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন মতবাদ নিয়ে আসেন। তিনি পৃথিবীকেন্দ্রিক মডেলের বদলে সূর্যকেন্দ্রিক মডেলের প্রস্তাব করেন।অল মডেলের মূলকথা হলো পৃথিবীর সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘরে।তিনি আরও একটি নতুন কথা বলেন সেটি হল পৃথিবী তার নিজের অক্ষের উপর আবর্তন করছে।পরবর্তীতে বিজ্ঞানী গ্যালিলিও ও কেপলার কোপার্নিকাসের এই মতবাদের পক্ষে প্রমাণ হাজির করেন। বর্তমানে সূর্য কেন্দ্রিক এই মডেল প্রমাণিত এবং বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ তা গ্রহণ করেছে।

সৌরজগতের জানা অজানা (গ্রহ ও নক্ষত্রের পরিচয়)

সৌরজগতের জানা অজানা (গ্রহ ও নক্ষত্রের পরিচয়)

সূর্য একটি নক্ষত্র। সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীসহ আরো সাতটি গ্রহ ও অন্যান্য জ্যোতিষ্ক ঘুরছে।সূর্য এবং একে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান সকল জ্যোতিষ্ক ফাঁকা জায়গা নিয়ে আমাদের সৌরজগৎ গঠিত। সৌরজগতের বেশিরভাগ জায়গায় ফাঁকা। সূর্যকে কেন্দ্র করে আটটি গ্রহ বিভিন্ন দূরত্বে থেকে ঘুরছে।

সূর্য:-আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্র রয়েছে সূর্য। সূর্য অন্যান্য নক্ষত্রের মতো জ্বলন্ত একটি গ্যাস পিণ্ড।এই জ্বলন্ত গ্যাস পিণ্ড রয়েছে মূলত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস।হাইড্রোজেন গ্যাসের পরমাণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে হিলিয়াম পরমাণু তে পরিণত হয়।এ প্রক্রিয়ায় প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয়। এ শক্তি তাপ ও আলোক শক্তি হিসেবে সৌরজগতের ছড়িয়ে পড়ে। এভাবেই সূর্যের কাছ থেকে আমরা তাপ ও আলো পেয়ে থাকি। সূর্য মাঝারি আকারের একটি নক্ষত্র। তারপরও এটি পৃথিবীর তুলনায় লক্ষ লক্ষ গুণ বড়। সূর্য পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তাই পৃথিবী থেকে আমরা সূর্যকে এত ছোট দেখি

গ্রহসমূহের পরিচয়:-সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে আটটি গ্রহ। পৃথিবী এমন একটি গ্রহ। গ্রহসমূহ সাধারণত গোলাকৃতির। গ্রহগুলোতে বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থ রয়েছে। কিন্তু গ্রহ গুলো নিজেদের শক্তি উৎপাদন করে না। তাই কোন গ্রহ নিজে আলো-বা তাপ নিঃসরণ করে না।পৃথিবী থেকে সূর্যের অন্যান্য গ্রহ কে উজ্জল দেখালেও এগুলো আসলে সূর্যের আলোতে আলোকিত।

বুধ:-বুধ সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ। এতে কোন বায়ুমণ্ডল নেই।

শুক্র:-পৃথিবী থেকে সন্ধ্যায় পশ্চিম আকাশে সন্ধ্যাতারা এবং ভোরবেলায় শুকতারা রূপে যে তারাটি দেখা যায় সেটি কোন নক্ষত্র নয়। এটি আসলে সূর্যের একটি গ্রহ যার নাম শুক্র। সূর্যের আলোয় গ্রহের উপরে পড়ে। তাই আমরা একে আলোকিত দেখি।

পৃথিবী:-জীবনের জন্য উপযোগী উপকরণ ও পরিবেশ রয়েছে। পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে তৃতীয় গ্রহ।

মঙ্গল:-মঙ্গল কে কখনো কখনো লাল গ্রহ বলা হয় কারণ এর পৃষ্ঠ লাল রঙের
পৃষ্ঠতলের এবং খুবই পাতলা বায়ুমণ্ডল রয়েছে। মঙ্গলের মাটির নিচে পানি থাকার সম্ভাবনা আছে বলে বিজ্ঞানীরা এখন মনে করেন।

বৃহস্পতি:-বৃহস্পতির সূর্যের সবচেয়ে বড় গ্রহ। এটিতে শুধু গ্যাস রয়েছে কোন কঠিন পৃষ্ঠ নেই।

শনি:-শনি গ্রহটি ও কেবল গ্যাস দিয়ে তৈরি। এটিকে ঘিরে কতগুলো রিং বা আংটা রয়েছে।

ইউরেনাস:-ইউরেনাস গ্যাস ও বরফ দিয়ে গঠিত একটি গ্রহ।

নেপচুন:-নেপচুন অনেকটা ইউরেনাস এর মত একটি গ্রহ। আগে প্লুটো নামক একটি জ্যোতিষ্ক কি গ্রহ বলা হত।কিন্তু ২০০৯ সালে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্ত নেন যে এটি একটি ক্ষুদ্র অসম্পূর্ণ গ্রহ।

সৌরজগতের জানা অজানা (গ্রহ ও নক্ষত্রের পরিচয়)

সৌরজগতের জানা অজানা (গ্রহ ও নক্ষত্রের পরিচয়)

উপগ্রহ:- সৌরজগতের গ্রহগুলো সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। গ্রহ কি আবার কেন্দ্র করে ঘুরছে ছোট ছোট উপগ্রহ। পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ। এটি পৃথিবী কে কেন্দ্র করে ঘুরছে। উপগ্রহগুলো আকারে গ্রহের চেয়ে অনেক ছোট হয়। নিজেরা তাবা আলো উৎপন্ন করতে পারে না। এরা তাই সূর্যের আলো দ্বারা আলোকিত হয়।সূর্যের আলো চাঁদের পৃষ্ঠে পড়ে প্রতিফলিত হয় বলে আমরা চাঁদকে আলোকিত দেখিয়ে

চাঁদ ২৭ দিন ৮ ঘন্টায় একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। চাঁদ প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের আগ্রহের বস্তু। j4 এক রাতে হয়তো একেবারেই দেখা যায় না তাকে আমরা অমাবস্যা বলি।তারপরে রাতে সরু এক ফালি চাঁদ পশ্চিম আকাশে অল্প সময়ের জন্য দেখা যায়। এই শুরু এক ফালি চাঁদ প্রতিরাতে বড় হতে থাকে। দুই সপ্তাহ পর চারদিকে একটি গোলাকার থালার মতো দেখায়। একে আমরা পূর্ণিমা বলে থাকি। পূর্ণিমার পরের রাতে কে চাঁদটি আবার ছোট হতে থাকে। এভাবে ছোট হতে হতে আবার দুই সপ্তাহ পর চাঁদকে কোন এক রাতে একবারের জন্যও দেখা যায় না। এভাবে 29/30 দিন পর পর আমরা অমাবস্যা ও পূর্ণিমার হতে দেখে থাকি।

সৌরজগতের জানা অজানা (গ্রহ ও নক্ষত্রের পরিচয়)

সৌরজগতের জানা অজানা (গ্রহ ও নক্ষত্রের পরিচয়)

চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ হলেও পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে 2500 বেশি মানুষ প্রেরিত উপগ্রহ।
পৃথিবীর সৌর জগত সম্পর্কে জানার কোন শেষ নেই। দিন দিন এ সম্পর্কে তথ্য বেড়েই চলেছে। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীও সৌর জগত সম্পর্কেপ্রচুর গবেষণা করে আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরেছেন পৃথিবী সৌরজগতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমূহ।

কারিগরি শিক্ষা কি এবং এর প্রয়োজনীয়তা

জানা অজানা

You may also like

Leave a Comment