গ্যাস্ট্রিক বেড়ে গেলে যা করবেন:
গ্যাস্ট্রিক একটি সাধারণ সমস্যা। তবে একে যতটা সাধারণ মনে করা হয় এটি ততটা সহজ অসুখ নয়। গ্যাস্ট্রিকের কারণে অনেকে মারাও যায়। গ্যাস্ট্রিক রাতারাতি হয় না বরং বহুদিনের অনিয়ম ও বদভ্যাসের কারণে গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে।
অনেক সময় তা বিকট একার ধারণ করে এবং অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে যেমন বুকে জ্বালাপোড়া করা, মুখের মধ্যে টকভাব অনুভূত হওয়া, পেট ব্যথা করা এবং পেট ভরা অনুভূত হওয়া।
গ্যাস্ট্রিক বেড়ে গেলে অবশ্যই বেশি বেশি পানি খেতে হবে। গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া একটি কার্যকরী পন্থায়। পানি শুধু গ্যাস্ট্রিক নয় বরং আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রিকসহ কোষ্ঠকাঠিন্য জাতীয় রোগের সমাধান হলো পানি।
হঠাৎ গ্যাস্ট্রিক বেড়ে গেলে আপনি একটু মেথি পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেয়ে নিবেন। মেথিতে পানি যোগ করে তা পান করলে খুব তাড়াতাড়ি গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
গ্যাস্ট্রিকের আরো একটি কার্যকরী সমাধান হলো কাঁচা পেঁপে খাওয়া। কিন্তু পেঁপে কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থায় খাওয়া জরুরি। এছাড়াও আপনি পেঁপে সেদ্ধ করে ভর্তা করে তা ভাতের সাথে খেতে পারেন।
পেঁপে খেলে গ্যাস্ট্রিক কমে যায়। এবং অস্বস্তিকর অনুভূতি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হলে আপনি খাওয়ার অনিয়ম করবেন না। সকাল দুপুর ও রাতে একদম যথাযথ সময়ে খাবার গ্রহণ করুন। অতিরিক্ত সময় খালি পেটে থাকবেন না কারণ খালি পেটে থাকা গ্যাস্ট্রিক হওয়ার একটি অন্যতম কারণ।
রাতের খাবার খাওয়ার কমপক্ষে দুই ঘন্টা পর ঘুমাতে যাবেন। অনেকেই রাতের খাবার দেরি করে খায় এবং খাবার খাওয়া মাত্র শুয়ে পড়ে এতে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বেশি হয়।
তাই রাতের খাবার আগে আগে গ্রহণ করুন এবং কিছুটা সময় হাটাহাটি করার পর বিছানায় যান।
অতিরিক্ত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাবেন না। তৈলাক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হওয়ার প্রধান কারণ। বিশেষ করে বাইরে থেকে কেনা সিঙ্গারা পুরে ফুচকা এই ধরনের খাবার পরিহার করুন।
এসব বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন। তবে তৈলাক তো খাবার অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো।
পচা বাঁশি খাবার পরিহার করুন। পচা ও বাসি খাবারের নানা রকম ব্যাকটেরিয়া জন্মে যা আমাদের অন্ত্রের ক্ষতি করে।
এই ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে স্থায়ী ভাবে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধ করতে আপনি সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। তিন বেলা খাবার যথাযথ সময় গ্রহণ করবেন এবং পচা বাঁশি খাবার থেকে বিরত থাকবেন। নিউ মুভি জীবন যাপন করুন এতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন। আর গেস্টিক একটি মারাত্মক সমস্যা এটি অবহেলা করার বিষয় নয়। তাই গ্যাস্ট্রিক মারাত্মক আকার ধারণ করলে তা সহজভাবে নিবেন না বরং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
চিকিৎসকের কথামতো ঔষধ গ্রহণ করবেন এবং সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। এতে গ্যাস্টিক সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
1 comment
[…] বছরের শেষ দিন হল’ 31 শে ডিসেম্বর গ্যাস্ট্রিক বেড়ে গেলে যা করবেন মেয়েরা কোন ধরনের ছেলেদের প্রেমে […]