ঔষধী গাছ কেন লাগাবেন,,,? দশটি ঔষধী গাছের ব্যাখ্যা নিচে বিস্তারিতTop 10 tress

দশটি ঔষধী গাছের ব্যাখ্যা

by Md Limon
ঔষধী গাছ কেন লাগাবেন,,,? দশটি ঔষধী গাছের ব্যাখ্যা নিচে বিস্তারিত।

ঔষধী গাছ কেন লাগাবেন Top 10 tress,,,? দশটি ঔষধী গাছের ব্যাখ্যা নিচে বিস্তারিত।

১/ নিমঃ নিম একটি বড় ধরনের ঔষধী গাছ।নিম গাছের শেকর থেকে গাছের পাতা পর্যন্ত সব ঔষধে কাজে লাগে যেমন, নিম গাছের শেকর দিয়ে মেছোয়াক তৈরি করা হয়। নিমের শেকর দিয়ে দাঁত মেছোয়াক করলে দাঁতের গোরালী শক্ত করে এবং দাঁতের পোঁকা দূর করে দাঁতের ব্যাথা দূর করে। আবার নিম গাছের পাতার রস সকালে খালি পেটে পান করলে পেট পরিষ্কার থাকে।কোন ধরনের চর্মরোগ থাকলে নিমের পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগাললে আর কোনো জীবানু থাকতে পারেনা।

২/ হরতকিঃ- হরতকি একটি বড় ধরনের ঔষধী গাছ। হরতকি গাছ সাধারনত আমরা অনেকেই চিনিনা। হরতোকি গাছ দেখতে অনেকটা কাঠ বাদাম গাছের মতো। হরতকি গাছ দিয়ে কবিরাজি ভেষজ ঔষধ তৈরি করা হয়। এবং হরতকি গাছের ছাল ভেযানো পানি পান করলে শরীরের রক্ত চলাচল ক্লিয়ার করে।

৩/ বহেরাঃ- বহেরা একটি দামিও ঔষধী গাছ। বহেরা গাছেও আমাদের ভালো পরিচিত না। বহেরা গাছ দিয়া ডাক্তারি ঔষাধ তৈরি করা হয়। বহেরা গাছের পাতা যদি হাল্কা গরম জলে ভিজিয়ে রেখে পরপর একটানা ৬০ দিন খেতে পারেন তাহলে আপনার কোনো ধরনের গ্যাষ্টিক থাকবেনা।

৪/ অর্জুনঃ- অর্জুন একটি বড় ধরনের ঔষধী গাছ। অর্জুন গাছ দারা কবিরাজি ভেষজ ঔষধ তৈরি করা হয়। অর্জুন গাছ সাধারনত রাস্তার পাশে দেখা যায়। অর্জুন গাছের ছাল যদি রাতে গ্লাসে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে পানি টুকু পান করেন তাহলে আপনার আর কোনো ধরনের পেটে মোচড় অথবা পেটে ব্যাথা থাকবেনা এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

৫/ তুলসিঃ- তুলসি একটি বড় ধরনের ঔষধী গাছ। তুলসি গাছ দারা কবিরাজি ভেষজ ঔষধ তৈরি করা হয়। ডাক্তারি ঔষধ ও তৈরি করা হয়। তুলসি গাছ সাধারনত শীতের সময় বেশি কাজে লাগে কারন শীতের সময় মানুষের ঠান্ডা কাঁশি বেশি হয়।আর তুলসি গাছের পাতা চিবিয়ে খেলে কোনো ধরনের ঠান্ডা কাঁশি থাকে না।

ঔষধী গাছ কেন লাগাবেন,,,? দশটি ঔষধী গাছের ব্যাখ্যা নিচে বিস্তারিত।

ঔষধী গাছ কেন লাগাবেন,,,? দশটি ঔষধী গাছের ব্যাখ্যা নিচে বিস্তারিত।

৬/ সেফালীঃ- সেফালী একটি বড় ধরনের ঔষধী গাছ। সেফালী গাছের আর এক নাম হল শিউলি। শীত কালে খুব ভালো ঘ্রান যুক্ত ফুল হয়। সেফালী গাছ দারা ডাক্তারি কবিরাজি ভেষজ ঔষধ তৈরি করা হয়। সেফালী গাছের পাতায় সামান্য আল দেখা যায়। সেফালী গাছের পাতা চিবিয়ে খেলে কোনো ধরনের জ্বর হয় না। রাত্রি জ্বর হবার পরে ও যদি পাতা চিবিয়ে খান তাহলে আপনার আর জ্বর থাকবেনা।

৭/ মন্জুরঃ- মন্জুর একটি বড় ধরনের ঔষধী গাছ। মন্জুর গাছের পাতা দারা ডাক্তারি ও কবিরাজি ভেষজ ঔষধ তৈরি করা হয়। মন্জুর গাছের পাতা প্রচুর পরিমাণ তেতো।
মানুষের অথবা কোনো পশুর যদি পাতলা পায়খানা হওয়ার পরে এই পাতার রস খাওয়ানো হয় তাহলে আর পাতলা পায়খানা থাকবে না। সাভাবিক ভাবে ভালো হয়ে যায়।

৮/ বাশোকঃ- বাশোক গাছ একটি বড় ধরনের ঔষধী গাছ। বাসোক গাছের পাতা দারা ডাক্তারি ঔষধ তৈরি করা হয়। বাসোক গাছের পাতা ও জ্বর হলে খাওয়া হয়। এটা ও রাতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে পানি পান করলে শরীরে কোনো ধরনের জ্বর থাকবেনা।

৯/আঁকোন গাছঃ- আঁকোন গাছ একটি বড় ধরনের ঔষধী গাছ। কোনো ধরনের বিষক্ত ঘা হলে এই আঁকোন পাতা ব্যাবহার করা হয়। সেটা কোনো মানুষের হোক অথবা পশু পাখির হোক। মানুষের বিষক্ত স্থানে লাগিয়ে বিষ ঝারা হয়। আর পশুপাখির বিষ মুক্ত করতে হলে আঁকোন গাছের পাতার রস খাওয়ানো হয়।

১০/ডায়বেটিসঃ- ডায়বেটিস একটি বড় ধরনের ঔষধী গাছ। আসলে এই গাছটির নামই হচ্ছে ডায়বেটিস গাছ অবাক হবার কিছুই নাই।এই ডায়বেটিস গাছ সাধারনত রাস্তার পাশে দেখা যায়। সত্যিই এই ডায়বেটিস গাছের পাতা যদি প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে চিবিয়ে খায় তাহলে কোনো দিন আর তার ডায়বেটিস দেখা দিবে না। এইসব ঔষধী গাছের ছাল এবং পাতা যদি সঠিক ভাবে ব্যাবহার করতে পারেন তাহলে আপনারা কোনো ধরনের রোগে আক্রান্ত হবেন না।

বাংলাদেশের গবেষকরা বলছেন, আমাদের আশেপাশে থাকা অনেক গাছের ঔষধি গুণ রয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষজন এগুলো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ব্যবহার করে এলেও এখন তাদের গবেষণায় এগুলোর নানা গুণাগুণ দেখতে পেয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ”পৃথিবীজুড়ে ৫০ হাজারের ওপর এমন গাছ ও উদ্ভিদ রয়েছে, যা মানুষ নানা কাজে ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করে। বাংলাদেশেও এরকম প্রায় ১৫০০ প্রজাতির তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৮০০ প্রজাতির গাছ ও উদ্ভিদের ঔষধি ক্ষমতার প্রমাণ আমরা পেয়েছি।”এর অনেক গাছই আমাদের ঘরের আশেপাশে, অযত্নে, অবহেলায় বড় হয়ে ওঠে। আবার সংরক্ষণের অভাবে অনেক গাছ ও উদ্ভিদ এখন হারিয়ে যেতেও বসেছে।


You have to wait 30 seconds.

Wait For Code


এলোভেরা যে কাজে লাগে এবং এলোভেরার গুনা গুণ সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত

You may also like

Leave a Comment