নিরাপদ ভ্রমণে যে সমস্ত জিনিস ভুলে গেলেই বিপদ..!!
মানুষের জীবন হলো কিছু পর্যায়ের সমষ্টি। কিছু মুহূর্ত একের পর এক সাজিয়ে সৃষ্টি হয় জীবন। আর মানব জীবনের সবচেয়ে আনন্দদায়ক মুহূর্ত হচ্ছে ভ্রমণ। মানুষের মনের একঘেয়েমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে ভ্রমণ। মানুষের মনকে সুন্দর ও সুস্থ রাখার জন্য ভ্রমণ অপরিহার্য। আর এই জন্য মানব জীবনের সুন্দর ও নিরাপদ ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে ভ্রমণ জন্য নিরাপদ হয় এই ব্যাপারটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে। কারণ ও নিরাপদ ভ্রমণের দুর্ঘটনাবশত অনেক মানুষ জীবন হারায়।তাছাড়া রয়েছে সন্ত্রাসবাদ চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজ এর আশঙ্কা। ভ্রমণের ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক নিরাপদ ভ্রমণের কিছু উপায়।
১.প্রথমত ভ্রমণের দিন ঠিক করতে হবে একটি ছুটির দিন যেদিন যানজট কম। কোলাহল কম থাকলে ভ্রমণ নিরাপদ ও দূষণমুক্ত হবে। কর্মমুখর দিনে ভ্রমণ করলে খুব একটা আনন্দ পাওয়া যায় না কারণ যানবাহনের কোলাহল এবং পরিবেশ দূষণের সম্মুখীন হতে হয়। ছুটির দিনে তুলনামূলক যানবাহন ও জনকোলাহল কম তাই ভ্রমণ আনন্দদায়ক।
২. ভ্রমণের আগের দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন ব্যাগ ,জামাকাপড় ,জুতা, প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স, স্যালাইন, পানির বোতল, মোবাইল ফোন ,চার্জার এবং আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় সবকিছু গুছিয়ে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আগে থেকেই একটি লিস্ট করে রাখা ভালো।
৩. যদি দূরের পথে ভ্রমণ হয় তাহলে ভারী কিছু না খাওয়াই ভালো, বের হওয়ার আগে হালকা কিছু খেয়ে বের হতে হবে। এবং আনুষঙ্গিক কাজ বাসায় সেরে বের হতে হবে।
৪. সাঁতার না জানলে নদী পথে ভ্রমণ না করাই ভালো। কারণ সেদার না জানার কারণে পানিতে ডুবে প্রতিদিন বহু মানুষ মারা যায়।
৫. বর্তমান যুগে চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে। আর এ জন্য আমাদের সাবধান থাকতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মীর ফোন নম্বর সাথে রাখতে হবে। অচেনা কাউকে বিশ্বাস করে কোন গোপন তথ্য বা টাকা দেয়া যাবে না।
৬. ভ্রমণের পথে সাথে হালকা খাবার রাখতে হবে। কারন বারবার উঠানামা এবং দোকানের যাওয়া-আসার সময় কোন বিপদ ঘটতে পারে। খুব প্রয়োজন না হলে বারবার উঠানামা না করাই ভালো।
৭. ড্রাইভারকে সতর্ক হতে হবে গাড়ি চালানোর ব্যাপারে। অসতর্কভাবে গাড়ি চালানোর জন্য অনেক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এজন্য বহু যাত্রী পরিবহনের সময় গাড়ির বেগ সব সময় কম রাখতে হবে। এবং একমুখী চলাচল ব্যবস্থা কার্যকর রাখতে হবে।
৮. নিরাপদ ভ্রমণের জন্য মাথায় হেলমেট এবং মুখে মাস্ক পড়তে হবে। করোনাকালে মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হওয়া খুবই বিপদজনক। সর্বোপরি সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে তবেই ভ্রমণে বের হতে হবে। ভ্রমণকে নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করার জন্য সবরকম পন্থা মেনে চলতে হবে। কোথাও ভ্রমণে বের হওয়ার আগে অবশ্যই পরিবার পরিজন এবং আত্মীয় স্বজনকে জানিয়ে বের হতে হবে। তাহলে কোন রকম বিপদের আশঙ্কা থাকবে না। কোন সমস্যা হলে তারা সাহায্য করতে পারবে। ভ্রমণের সময় অবশ্যই মোবাইলের লোকেশন অন রাখতে হবে। তাহলে কোন দুষ্টু লোকের অপহরণ এর সম্ভাবনা থেকে বাঁচা যাবে।
এসব নিয়ম মেনে সুন্দর ভ্রমণ করা যাবে, সুন্দর ভ্রমণ জীবনকে আনন্দদায়ক করেছে। আর মানুষের মধ্যে করেছে পরিশুদ্ধ। মানব মনের পরিবর্তন ঘটিয়ে একটি মানুষকে সুন্দর চিন্তা নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের সাহায্য করে। আর এজন্যই নিরাপদ ও আনন্দদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে।