নিয়মিত টমেটো ও শসা খাওয়ার উপকারিতা- হতে পারে যেসব ক্ষতি
টমেটো ও শসাদুটোই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরা কোন ফল নয় বরং সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। যে কোন খাবারের সাথে টমেটো ও শসা খেলে খাবারের স্বাদ অত্যন্ত বেড়ে যায়। এগুলো স্বাদে যেমন ভালো তেমনি পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। আমরা জানবো নিয়মিত শসা টমেটো খাওয়ার উপকারিতা।
১. টমেটো অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি সবজি। টমেটো কাঁচা বা পাকা যে অবস্থায় খাওয়া হোক না কেন তা আমাদের জন্য উপকারী।
আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে টমেটো।
২. শসা একটি পানি জাতীয় সবজি। এটি আমাদের দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। যাদের দেশে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি জমে গেছে তাদের উচিত প্রতিদিন একটি করে শসা খাওয়া।
৩. শসার আমাদের রক্তকে পরিশোধিত করে।আমাদের দেহের বিভিন্ন খারাপ রোগ জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে শসা। এটি দেহের এক ধরনের এন্টি বডির কাজ করে।
৪. টমেটো আমাদের ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করে। অনেক কুঁচকে যাওয়া চামড়া টানটান করতে সাহায্য করে টমেটো। ত্বকের বলিরেখা বলি রেখা দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল ও চকচকে করতে সাহায্য করে। সেইসাথে ত্বকের ফর্সা ভাব বৃদ্ধি পায়।
৫. কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে শসা। শসা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। পেটের বিভিন্ন রকম অসুখ এর প্রতিষেধক হিসেবে সহসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৬. শশাঙ্ক টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। আমাদের শরীরের ক্ষয় পূরণ বৃদ্ধিসাধন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে টমেটো ও শসা এর জুড়ি নেই।
৭. চুল পড়া কমাতে শসা অনেক কার্যকরী। এমনকি শসার রস চুলের গোড়ায় দিলে চুল পড়া কমে যায়। মূলত শসার রস চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে।
৮. টমেটো ও শসা আমরা খাবারের সাথে সালাত হিসেবে খেয়ে থাকি। এটি খাবারের পুষ্টিগুণ অত্যন্ত বৃদ্ধি করে এবং সেইসাথে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে।অনেক সময় অতিরিক্ত খাবার গ্রহণে হজম শক্তির ব্যত্যয় ঘটে। এমন অবস্থায় শসা খেলে আপনার হজম শক্তি আবার ফিরে আসবে।
9.ফসফরাস উপাদানটি হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী মূল পুষ্টি যোগায়। সবুজ এই সুস্বাদু সবজি বা ফলে প্রায় চার শতাংশ ফসফরাস রয়েছে যা সকল প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্যই প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় শসা রাখলে কদিন পর নিজেই শসা খাওয়ার উপকারিতা বুঝতে পারবেন
10.উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে টমেটো। নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে যদি শুধু টমেটো খাওয়া যায় তাহলে ইতিবাচক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও রক্তস্বল্পতা দূরীকরণেও সহায়তা করে টমেটো
এ জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় টমেটো ও শসা অন্তর্ভুক্ত করুন। এদের পুষ্টিগুণ অত্যন্ত বেশি এবং খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধি করে।
বিভিন্ন রকম রোগের আক্রমণ থেকে বাচা যায় টমেটো ও শসা খেলে।
তাই নিয়মিত কমপক্ষে একটি করে হলেও টমেটো ও শসা খাবেন। সালাত হিসেবে খাওয়া সহজ।
পেঁয়াজ মরিচ এবং লবণ দিয়ে হালকা মেখে টমেটো ও শসা সালাদ তৈরি করতে হয়। এটি খুবই সুস্বাদু।
এজন্য টমেটো ও শসা প্রতিদিন খেলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে এবং বিভিন্ন রকম খারাপ রোগের হাত থেকে রেহাই পাবেন।
তাই প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় টমেটো ও শসা রাখার চেষ্টা করুন।
যেসব ক্ষতি হতে পারে…
বিজ্ঞানী স্টিফেন জানান, শুধু মটরশুঁটি নয় টমেটো, শসা, সয়াবিন, চিনা বাদাম, কাজু, শুকনো লঙ্কার মতো শস্যদানায় ল্যাক্টিনের প্রভাব বেশি থাকে।
যে কারণে সেই গবেষণা অনুযায়ী-টমেটো ও শসার সালাদ খাচ্ছেন আর নিজের অজান্তেই হারাচ্ছেন আপনার চিন্তাশক্তি!
শসা তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়, কিন্তু টমেটোর পাকস্থলীর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পাক হতে সময় লাগে। দুইয়ের ভিন্নতার কারণেই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাসের প্রভাব মারাত্মক হতে পারে।
শসার মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা টমেটোর ভিটামিন সি’র সঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এসে পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে দইয়ের সঙ্গে টমেটো, শসা, পেঁয়াজ মিশিয়ে রায়তা করে খেতে ভালবাসেন। এটিও পেটের মারাত্মক ক্ষতি করে
টমেটো ভিটামিন সি-তে ভরপুর। আর শসায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা টমেটোর এই ভিটামিন সি-র সঙ্গে বিক্রিয়া করে। বিক্রিয়ার ফলে এমন কিছু উপাদান তৈরি হয়, যা পাকস্থলীর ক্ষতি করে। তাৎক্ষণিক তা টের পাওয়া না গেলেও, এটা দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকলে পেটের বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে
গ্যাস্ট্রিক আলসার এর লক্ষন ও কেন হয় ।
মাথাব্যথার (Headache) কারণ ও মুক্তির উপায়