ছাত্র জীবনে আয় করার কিছু উপায়:
মানব জীবনে অর্থের গুরুত্ব অপরিসীম। অর্থ না থাকলে কারো কাছেই মূল্য পাওয়া যায় না। আর যতদিন আপনি অর্থের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল, ততদিন আপনার নিজের কাছে নিজেকে ছোট মনে হবে।
বিশেষ করে যে সকল ছাত্র-ছাত্রী কলেজে পড়ে তারা অনেক সময় নিজস্ব হাত খরচের টাকা পায় না।
অনেক সময় পারিবারিক আর্থিক সমস্যা তাদের ছোট ছোট সবগুলো পূরণে বাধাগ্রস্ত করে।
কিন্তু একজন মানুষ ছাত্র জীবন থেকেই আয় করতে পারে এরকম সুযোগ আমাদের দেশে রয়েছে।
যেমন ধরুন আপনি একটি ইউনিভার্সিটি তে পড়েন। আপনার সারাদিন হয়তো ক্লাসে থাকতে হয় না।
বেশ অনেকটা সময় আপনি অবসরে কাটান এবং কিছু না করেই সময় কাটিয়ে দেন।
আপনার এই অবসর সময়টি আপনারা আয়ের উৎস হতে পারে। আপনি যদি কিছু ছাত্র-ছাত্রী পড়ান তাহলে আপনি মাস শেষে একটি ভাল পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
সেজন্য প্রথমত আপনার ব্যক্তিগত বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং দেয়াল পোস্টার ব্যবহার করতে পারেন আপনি।
একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনি ছোট শিক্ষার্থীদের পিছনে ব্যয় করবেন এতে তাদের জ্ঞান প্রসারিত হবে এবং আপনিও লাভবান হবেন।
এছাড়া আপনি কোন একজন নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীকে বাড়িতে গিয়ে ঘরোয়াভাবে পরিয়ে বেশ অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই পদ্ধতি আমাদের দেশে গৃহ শিক্ষক দিয়ে পড়ানো বলা হয়।এর মাধ্যমে আপনি ছাত্র জীবন থেকেই স্বাবলম্বী হতে শিখবেন এবং আপনার নিজেরও জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে।
ছাত্রজীবন বলতে বোঝায় যে অভিজ্ঞতা এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ব্যক্তিরা তাদের শিক্ষা অনুসরণ করার সময়। এতে একাডেমিক দায়িত্ব অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে যেমন ক্লাসে যোগ দেওয়া, পরীক্ষার জন্য অধ্যয়ন করা এবং অ্যাসাইনমেন্টগুলি সম্পূর্ণ করা।
উপরন্তু, ছাত্রজীবন প্রায়ই ক্লাব, খেলাধুলা এবং ইভেন্টের মতো সামাজিক কার্যকলাপ জড়িত। এটি ব্যক্তিগত বৃদ্ধি, সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং দক্ষতা বিকাশের একটি সময় যা ব্যক্তিদের তাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনে পরিবেশন করবে
বর্তমান যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে অনলাইনে চাকরির বিভিন্ন সুযোগ তৈরি হয়েছে।
আপনি আপনার অবসর সময়ে বিভিন্ন সাইটে লেখালেখি করার মাধ্যমে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন এবং অর্থ আয় করতে পারেন।একে বইয়ের ভাষায় বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। এই পদ্ধতিতে আপনার যে কোন অবসর সময় আপনি নিতে পারেন।
এর একটি সুফল হল আপনি কারো অধীনে থেকে কাজ করবেন না বরং নিজের স্বাচ্ছন্দ মতো কাজ করে আপনি অর্থ আয় করবেন।এমনকি এই কাজের জন্য আপনার বাসা থেকে বের হতে হবে না। ঘরে বসে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের মাধ্যমে আপনি কাজ করে অর্থ আয় করতে পারেন।
শুয়ে বসে যে কোন অবস্থাতেই আপনি কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। ফেসবুকে অনেক সময় আমরা অযথা সময় নষ্ট করি এবং অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও পোস্ট এগুলো দেখি।ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরকম সময় নষ্ট না করে আপনি আপনার মূল্যবান সময়টি একটি আয় করার খাতে ব্যয় করতে পারেন।
বর্তমানে বিভিন্ন আয় করার অ্যাপ বের হয়েছে। এই অ্যাপগুলো মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ের কাজ দেয় এবং অ্যাপ গুলোতে কাজ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়। এই অ্যাপগুলো মূলত এড ভিউ করার কাজ দেয়।
বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তাদেরকে নিজেদের পণ্যের অ্যাড প্রচার করে এবং তা আমরা দেখার মাধ্যমে তাদের ব্যবসার প্রসার করি এবং নিজেরা আয় করতে পারি।
এছাড়া আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন যেখানে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ভিডিও আপনি পোস্ট করবেন। আপনার পোষ্টের ভিউ এবং লাইক কমেন্ট এর সংখ্যা অনুযায়ী আপনি একটি বড় পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারেন।
আপনি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন। সেখানে আপনি পড়াশোনা কিংবা রান্নাবান্না কিংবা দৈনন্দিন জীবনযাপন সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিডিও বা পোস্ট শেয়ার করতে পারেন।এতে সাধারণ জনগণ যেমন আনন্দিত হবে ঠিক তেমনি আপনাকে একটি বড় পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হবে।পড়াশোনার পাশাপাশি এ ধরনের কাজগুলো
করতে খুব বেশি একটা সময় লাগে না। তবে খেয়াল রাখবেন যেন পড়াশোনার কোনো ক্ষতি না হয়।অনেক সময় বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়ি থেকে হাত খরচের টাকা চাইতে ছাত্রছাত্রীরা ইতস্তত বোধ করে। তাদের জন্যই এই উপায়গুলো বর্ণনা করা হলো।
এছাড়া নিজস্ব আয়ের একটি আলাদা খুশি থাকে।
আপনার পরিবার থেকে আপনাকে ১ হাজার টাকা হাত খরচের জন্য দেওয়া হলে আপনি যতটা খুশি হবেন তার থেকে অনেক বেশি খুশি হবেন আপনার নিজস্ব আয় করা একশ টাকা পেয়ে।তাই শুরু থেকেই নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন তবেই আপনি কর্মজীবনে গিয়ে লাভবান হবেন।
কারণ বর্তমানে জনসংখ্যা যেহেতু বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং চাকরির বাজার এ প্রতিযোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে তাই আপনার অবশ্যই নিজের ক্যারিয়ার এবং আয়ের উৎস নিয়ে সচেতন থাকতে হবে।
২০২৩ সালে কেমন যাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি
ব্যবসা শুরু করার আগে যে বিষয়গুলো ভুলে গেলেই বিপদ